এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া অফিস, হয়ে গেল বাংলার আবাস যোজনা ঘর

ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া অফিস, হয়ে গেল বাংলার আবাস যোজনা ঘর

দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর অবশেষে ঘরের দেওয়ালে বাংলার আবাস যোজনার প্রকল্পের আইডি নম্বর এবং উপভোক্তার নাম লিখে দিতে বাধ্য হল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর 2 পঞ্চায়েত। কিন্তু ঘরটি তালাবন্ধ থাকায় সেইখানে উপভোক্তা বৃদ্ধ শঙ্কর মাঝি ঢুকতেই পারেননি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, দুদিন এই ঘরটি পুলিশ পাহারা দেবে। তারপরই শুক্রবার সব পক্ষকে নিয়ে বসে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। জানা যায়, খেত জমির মধ্যে একটি পাকা ঘর শংকরবাবুর নামে থাকলেও কাঠুরিয়াপাড়ার বাঁধের উপরে অস্থায়ী ঠিকানায় তার এত দিন রাত কাটত।

তবে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই সেই ঘরে তৃণমূলের পতাকা উড়তে দেখা যায়। যা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন যে, বাংলা আবাস যোজনার ঘর পেয়েও শংকর মাঝির সেই ঘর দখল করে নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। আর তারপর থেকেই এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শঙ্কর মাঝি অভিযোগ করেন, “আমার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। প্রথমে আমি কিছুই জানতে পারিনি। পরে ঘরের সামনে দাঁড় করিয়ে তৃণমূল নেতারা বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। বাংলার আবাস যোজনা সার্টিফিকেটও আমাকে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘরও পাইনি, টাকাও দেখিনি।”

এদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে পাল্টা সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির যুব নেতা অজয় ডোকাল বলেন, “সোমবার প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শংকর বাবুকে তার নিজের ঘরে ঢুকিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বুধবার তাকে বার করে দিয়ে সেখানে ফের তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।”

এদিকে এরপরই এদিন দুপুরে বিজেপি সেই শংকর মাঝির ঘরের মাথায় দলীয় পতাকা টাঙিয়ে জামালপুর 2 পঞ্চায়েতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন একজন সাধারন মানুষের ঘর এইভাবে তৃণমূল দখল করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে এই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান উদয় দাস বলেন, “এই সংসদে আমাদের দলের সদস্য সুবল গোড়াকে নিয়ে শুক্রবার আলোচনা করা হবে। দলের কাছে ওই ঘরটিকে পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহার করার কোন বৈধ নথি আছে কিনা, তাও দেখা হবে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধেই চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন জামালপুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ পাল। তবে এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “অভিযোগ যখন হয়েছে, তখন তদন্ত করলেই আসল সত্যটা বেরিয়ে আসবে।” সব মিলিয়ে এবার বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৃণমূল নিজেদের পার্টি অফিস হিসেবে দখল করায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!