জোট ভাঙার হুঁশিয়ারি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে,রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে ত্রিপুরা জাতীয় May 16, 2018 এদিন ত্রিপুরায় কিলা,করবুকসহ বেশ কয়েকটি জেলায় আইপিএফটিকে রাস্তা অবরোধ করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়,থানাও ভাঙচুর করে তাঁরা। আইপিএফটির এই চলতে থাকা আন্দোলন কিন্তু বিজেপি সরকারের ঘুম ওড়াচ্ছে ত্রিপুরারতে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি ত্রিপুরাতে? আসুন দেখা যাক্। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, প্রথম থেকে পৃথক রাজ্য তিপ্রাল্যান্ডের দাবীতে সরব ছিল আইপিএফটি। তাই নিয়ে বহু আন্দোলনও হয়েছে। ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটের আগে বিষয়টিতে বিশেষ আমল দেওয়া না হলেও পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করে তাঁদের দাবী খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্যসরকার। কিন্তু ভোট হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টিতে জল ঢালা হয়। এই নিয়ে আইপিএফটির ভিতর ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। তাতে আগুন ঢেলেছে ত্রিপুরার বিভিন্ন উপজাতিবহুল এলাকা থেকে আইপিএফটি কর্মীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনা। সম্প্রতি আবার রাজ্যের ২৭ টি ব্লক উন্নয়ন উপদেষ্টা কমিটি বাছাই হয়েছে। আইপিএফটি কয়েকটি কমিটির চেয়ারম্যান পদ দাবী করেছিলো। তা তাঁদের দেওয়া না হলে আন্দোলনের পথে নামে তাঁরা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তবে জানা যাচ্ছে যে,বিষয়টি মিটমাটের জন্য বিজেপি নেতা ও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেবনাথের বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তাতে সুরাহা মেলেনি। এদিন বিপ্লবদেবের হুঁসিয়ারি মন্তব্যের জেরে সব পন্ড হয়ে গেলো। বিপ্লব দেব এদিন চলভাষে আইপিএফটির নেতা এবং ত্রিপুরা সরকারের মন্ত্রী এনসি দেববর্মাকে জানান যে অবিলম্বে বিভিন্ন জায়গা থেকে আইপিএফটি যদি রাস্তা অবরোধ ও আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচী তুলে না নেয় তবে আইপিএফটিকে বাদ দিয়েই সরকার চালাবে বিজেপি। বিপ্লবদেবের এই হুমকিতে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনটাই সন্দেহ প্রকাশ করছেন রাজনৈতিকমহল। আইপিএফটি যদি এই মুহূর্তে বিজেপি সমর্থন তুলে নেয় তবে আপাতত হয়তো বিজেপি আসন সংখ্যার সমস্যায় পড়বে না। কিন্তু আইপিএফটির সমর্থনে বিজেপি যে ৯ টি আসন জিতেছে ওগুলোতে পরে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে। আপনার মতামত জানান -