এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজ সকালে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দিতে চলেছেন রাজ্যপাল! কোন দিকে গড়ায় সম্পর্ক, জোর জল্পনা

আজ সকালে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দিতে চলেছেন রাজ্যপাল! কোন দিকে গড়ায় সম্পর্ক, জোর জল্পনা

ভয়াবহ করোনা মহামারীতে এমনিতেই বিধ্বস্ত সকলে। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন, এই মহামারী থেকে সেরে ওঠবার। কবে এই মহামারীকে বিদায় দেওয়া যাবে, তা জানেন না কেউ। কিন্তু প্রত্যেকেই এটা জানেন যে, সকলে যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করে কাজ করা যায়, তাহলে অবশ্যই এই মহামারীকে বধ করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে লকডাউনের সময় যখন মানুষ গৃহবন্দী, তখন সকলকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনারা সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করলেও, মানসিক দূরত্ব অবলম্বন করবেন না।

আর সাধারণ মানুষরা সেই মানসিক দূরত্ব অবলম্বন না করলেও, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বনাম প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যেকার দূরত্ব যে ক্রমশ বাড়ছে এবং তার প্রভাব যে সাধারণ মানুষের ওপর পড়বে, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত সকলে‌। বর্তমানে চিঠি পাল্টা চিঠিতে জোর তরজা শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে। কার পদের গরিমা কত বেশি, তা নিয়ে একে অপরকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন।

আর বাড়িতে বসে থেকে আমোদপ্রিয় বাঙালি বেশ ভালোই উপভোগ করছে এই জিনিসটি। কিন্তু দুই প্রধানের মধ্যে এই বিবাদ এবং তরজা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা ভাবতে গেলে অনেকেরই যেন গা শিউরে উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই করোনা মহামারীর সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া চিঠি দিতে দেখা গেছে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারকে। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। নাম না করে আক্রমন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এতদিন সেই ব্যাপারে চুপ ছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার নিজের নীরবতা ভেঙে রাজ্যপালকে কড়া চিঠি দিয়েছেন তিনি। যেখানে রাজ্যপালের পদে থেকে কিভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত, তার ব্যাপারে চিঠিতে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আর এরপরেই আশঙ্কা ক্রমশ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল কি বিবৃতি দেন!

ইতিমধ্যেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য পেয়ে তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে শুক্রবার সকাল 11 টায় তিনি চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। আর রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনকারের এই চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়ার জন্যেই অপেক্ষা করছে রাজনৈতিক মহল। একাংশের মতে, এই প্রথম করোনা মহামারীকে ঘিরে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতে মুখ্যমন্ত্রীকে কোনো বক্তব্য পেশ করতে দেখা গেল। আর মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করলেন, তখন কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, রাজ্যের নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে কতটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তবে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের ক্ষমতা কিছু কম নয়।

তাই করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকাল 11 টায় রাজ্যপালের চূড়ান্ত বক্তব্য দেওয়ার দিকেই এখন নজর রয়েছে সকলের। ঠিক কি বিবৃতি দিতে পারেন রাজ্যপাল? একাংশের মতে, রাজ্যপাল এমন কিছু বলতে পারেন, যার ফলে সরকারপক্ষ চরম অসুবিধায় পড়বে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চিঠির জবাবে রাজ্যপাল ধরে ধরে তার উত্তর দিতে পারেন। যা সরকারকে খুব একটা স্বস্তিতে রাখবে না বলেই মনে করছে একাংশ।

আবার অন্যদিকে অনেকে বলছেন, জাগদীপ ধনকার যেহেতু অত্যন্ত কড়া, তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দেওয়ার সাথে সাথে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও করতে পারেন। তবে কি করবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, তা শুক্রবার সকাল 11 টাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। ফলে এর জন্য আর কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই বঙ্গবাসীর কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!