এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আতঙ্কিত হবেন না, আতঙ্ক ছড়াবেন না! করোনা নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি একগুচ্ছ কড়া বার্তা মমতার

আতঙ্কিত হবেন না, আতঙ্ক ছড়াবেন না! করোনা নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি একগুচ্ছ কড়া বার্তা মমতার


শুক্রবার থেকে রবিবারের মধ্যে শহরে করোনা আক্রান্ত দুই থেকে বেড়ে হয়েছে সাত। তাই এবার রাজ্যে করোনা সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন ছাড়া আর কোন অস্ত্র নেই বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। অনুরোধ, আর্জি থেকে শুরু করে শাস্তির হুমকি- করোনা সংক্রমণ রুখতে সব রকম পথ ব্যবহার করছে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফ থেকে করোনা সংক্রমণকে আটকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপামর রাজ্যবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন আতঙ্কিত না হবার জন্য।

তিনি এদিন করোনা প্রসঙ্গে বলেন, “আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক ছড়াবেন না। সবাই বাড়িতে থাকুন। সতর্ক থাকুন। সবাই সুস্থ থাকুন। খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে বেরবেন না। বাইরের কাজ কদিন পর করুন। বিদেশ থেকে কেউ এলে ১৪ দিন একদম বাড়ির মধ্যে থাকুন। নিয়ম মেনে চলুন। কোনও অবস্থাতেই কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।”জনতা কার্ফু পালন করার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে দিলেন কড়া বার্তা। আর তারপরেই রাজ্যবাসীর কাছে এই আবেদন জানালেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।

এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের লক্ষ্য একটাই – করোনা ভাইরাসের চেনটিকে ভাঙ্গা অর্থাৎ ‘ব্রেক দা চেন’। আর সেই লক্ষ্যেই আগামী 23 শে মার্চ বিকেল চারটা থেকে সাতাশে মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলবে লকডাউন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের নির্দেশে অত্যাবশ্যকীয় জরুরী পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। গত রবিবার মধ্যরাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে রেল পরিষেবা। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রেনগুলি চলবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি 7 জনের বেশি জনসমাবেশ করতে ক্রমাগত নিষেধ করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে, ভারতে 81 জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 415। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গেও এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা সাতজন। শোনা যাচ্ছে, ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। বিশেষজ্ঞদের দাবি,  এবার তৃতীয় ধাপ থেকে শুরু হবে মহামারী যদি না সংক্রমণ আটকানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, রবিবার জনতা কার্ফুর শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে জরুরী পরিষেবা প্রদানকারীদের কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বড় রকমের জনসমাবেশ। আর তারপরেই সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী বিরক্ত সহযোগে অভিযোগ জানিয়েছেন, করোনার ভয়াবহতা এখনো বেশ কিছু মানুষ বুঝতে পারেননি, তাই তাঁরা এখনো সম্পূর্ণ সচেতন হননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, “অনেক মানুষ লকডাউনকে গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছেন না। দয়া করে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। যথাযথভাবে নির্দেশিকা মেনে চলুন। আমি সমস্ত রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি আইন মেনে লকডাউন নিশ্চিত করুন।”

জানা গেছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে, কেউ যদি লকডাউনের নিয়মনীতি মেনে না চলে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর তারপরেই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আগে আরেকবার রাজ্যবাসীকে সচেতন হওয়ার সুযোগ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহল থেকে। সারাদেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে চলেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

করোনা পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্তে আনতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই মুহূর্তে লকডাউন শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে রাজ্যের তেইশটি জেলায় বিকেল পাঁচটা থেকে কার্যকর হচ্ছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা আবেদন করছেন প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে বাড়ির ভেতরে পরিবার নিয়ে সুরক্ষিত থাকতে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন জনজাগরণের। আর তার জন্যই এই মুহূর্তে প্রয়োজন করোনা ভাইরাস এর মহামারী আকার ঠেকাতে নিজের কাছে নিজের অঙ্গীকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!