মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের একগুচ্ছ অভিযোগ, গুঞ্জন সর্বত্র! কলকাতা রাজ্য January 5, 2020 জনসাধারণের সঙ্গে সব সময় প্রশাসনের সমন্বয় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মত সেই জনতা জনার্দনের মন বুঝতে কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নে খোলা হয়েছিল “গ্রিভ্যান্স অ্যান্ড রেড্রেসাল সেল।” যেখানে সাধারন মানুষ কোনো অভাব অভিযোগ করলে তার সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। যাতে টোল ফ্রি নম্বরের পাশাপাশি ইমেইল আইডি এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দেওয়া হয়েছিল। তবে সরকারের তরফে জেলা প্রশাসনকে জেলার সমস্যা জেলাতেই নিরসন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরে প্রায় 4000 অভিযোগ জমা পড়ায় তীব্র গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নবান্ন হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় তিন হাজার 816 টি অভিযোগ এসেছে। যার মধ্যে 2319 অভিযোগের ক্ষেত্রে জেলা থেকে “অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট” পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বাকি অভিযোগগুলো এখনও পর্যন্ত রয়েই গেছে। যেখানে বেশিরভাগ অভিযোগ সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে শুধু সড়ক ব্যবস্থা নয়, সরকারি প্রকল্পের ঘর, পেনশন ভাতা, স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী প্রকল্প নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই বলছেন, কিছুদিন আগেই জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এসে সাধারণ মানুষের সমস্যা যাতে পড়ে না থাকে, তার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশিকার পরও কেন সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসন হচ্ছে না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “কোথায় কত অভিযোগ পড়ে রয়েছে, কেন পড়ে রয়েছে, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুরো পদ্ধতিকে অনলাইনে করা হয়েছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক রশ্মি কমল বলেন, “বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। রাস্তাঘাট, সরকারি প্রকল্পের ঘর নিয়েও কিছু অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সমস্যাগুলোরও সুরাহা হচ্ছে।” তবে জেলা থেকে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ায় কেন সেই অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না! তা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা মহলে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আপনার মতামত জানান -