এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জবাবি সওয়ালে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নাকে হাতিয়ার করে রাজীব কুমারকে তীব্রভাবে ব্যাকফুটে ঠেলল CBI?

জবাবি সওয়ালে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নাকে হাতিয়ার করে রাজীব কুমারকে তীব্রভাবে ব্যাকফুটে ঠেলল CBI?

দীর্ঘদিন ধরেই তাকে নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন চলছে। আর এবার জবাবি সওয়ালে সোমবার সিবিআইয়ের তোপের মুখে পড়তে হল কলকাতা পুলিসের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে। এদিন তিনি নিজেকে সামান্য পুলিসকর্মী হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেও, তাঁর জন্যই একসময় কলকাতার রাস্তায় ধর্নায় বসে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গেল সিবিআইকে।

সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতি মিত্রকে এই কথাই জানানো হয়েছে।  এদিন সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ওয়াই জেড দস্তুর। জানা গেছে, এতদিন রাজীব কুমারের তরফে সওয়ালে সিবিআই সম্পর্কে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার জবাব দেওয়া শুরু হয়েছে।

সিবিআই সম্পর্কে কোনও অভিযোগ থাকলে, তা হাইকোর্টে নয়, সুপ্রিম কোর্টে জানাতে হবে। কেননা সারদা নিয়ে সিবিআই তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই শুরু হয়েছে। যেখানে সিবিআই সঠিকভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পাল্টা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্তে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে ডাকা হলে তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, তিনি কিছুই জানেন না, কিছুই শোনেননি, কাউকে কিছুই বলেননি। রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের তিনি ছিলেন নেহাতই এক সামান্য কর্মী। সেখানে যৎসামান্য কিছু কাজ করতেন। কিন্তু রাজীব কুমারীর এই বক্তব্যকে কোট করেই এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

তাদের দাবি, রাজীব কুমার যদি সাদামাটা ব্যক্তি হিসেবেই কাজ করেন, তাহলে ব্যক্তির বাড়িতে যখন সিবিআই আধিকারিরকরা যান, তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনে তোলপাড় পড়ে যায় কেন! কেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় ধর্নায় বসে পড়েন! জানা গেছে, সিবিআইয়ের পাঠানো নোটিস বাতিল এবং কলকাতার বাইরে যেতে না পারার ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ শিথিল করার দাবি নিয়ে রাজীব কুমার একটি আবেদন করেছেন।

সেইসূত্রে তিনি সিবিআইয়ের নোটিস পাঠানোর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যার জবাবে এদিন বলা হয়, সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে কাশ্মীর থেকে ধরে আনা পুলিস দলের অন্যতম এক পুলিস অফিসারকে ডেকে পাঠানো হলে তিনি হাইকোর্টে আসেন। কিন্তু, বিচারপতি দেবাংশু বসাক তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, আবেদনটি শোনার এক্তিয়ার তাঁর নেই।

শ্যামল সেন কমিশন ও তার মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন রাজীব কুমার। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই কমিশন পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল। যে কারণে বহু বিনিয়োগকারী তাদের টাকা ফেরত পাননি। আদালতকে একথাও জানানো হয় যে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো ভারতী এয়ারটেলের কাছ থেকে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের অন্তত চার বছরের কললিস্ট পাওয়া উচিত ছিল।

কিন্তু, মাত্র দু’মাসের হদিশ সেখানে মিলেছে। সেক্ষেত্রে কোনো তথ্যও সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কিছু তথ্য মুছে দিলেও তা এই ধরনের যন্ত্রের ‘ভারচুয়াল মেমরি’তে থেকে যায়। যা উদ্ধারের চেষ্টা যেমন করা হয়নি, তেমন সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষাও হয়নি বলে দাবি। সব মিলিয়ে জবাবী সওয়ালে তাকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনাকে হাতিয়ার করে রাজীব কুমারকে ব্যাকফুটে ফেলে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!