এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা ছড়ানোর নতুন ‘থিওরি’ সামনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি! বিতর্কের ঝড় শুরু বাংলায়!

করোনা ছড়ানোর নতুন ‘থিওরি’ সামনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি! বিতর্কের ঝড় শুরু বাংলায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য করে আগে অনেকবার বিতর্কে জড়াতে দেখা গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে সম্প্রতি তাঁর করোনা সংক্রান্ত একটি মন্তব্যে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। বস্তুত, গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকের পর আজ ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই ঝাড়গ্রামের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সম্প্রতি দেখা গেছে আগে এই জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও অগস্ট মাস থেকে সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে বর্তমানে এই জেলায় ১৮৭ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আর এখানেই মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন যে বাইরের রাজ্য থেকে আসা লরিই নাকি এর জন্য দায়ী। তাঁর মতে, চেন্নাই মুম্বাই থেকে লরি সেখানে আসে। আর এই লরির চাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে স্থানীয় অঞ্চলে। যেমন কাপড়জামা, বাজারের থলি থেকে ছড়ায়, সেভাবেই চাকা থেকে ছড়াচ্ছে করোনা জীবাণু। তাই তেমন হলে মাঝেমধ্যে চাকার ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তবে শুধু কি পরীক্ষা করেই সুফল মিলবে? তাঁর কথায়, বাইরের রাজ্য থেকে আসা লরি ড্রাইভারদের সঙ্গে করে খাবার নিয়ে আসাই যথাযথ। তবে যদি ধাবায় বসে খেতেই হয়, সেক্ষেত্রে কোভিড বিধি মেনে পুরোপুরি স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করতে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আর এই পুরো বিষয়টি প্রশাসনকেই নজরে রাখতে হবে বলেই মনে করছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ছ’মাস ধরে করোনাভাইরাস ছড়ানোর যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়েছে তা থেকে এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি বলেই মনে করা হয়েছে। তবে প্রথমে সাধারণত এটি হাঁচি-কাশি বা সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমনের জায়গায় থাকে বলে মনে করা হলেও পরবর্তীকালে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে কেবলমাত্র মানুষের সংস্পর্শে না এলেও কোনো সংক্রমিত মানুষ যে বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছেন সেই বাতাসও আক্রান্ত করতে পারে কোন সুস্থ মানুষকে। তাই এটিকে বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ বললেও অত্যুক্তি করা হবে না বলেই দাবি করা হয়।

অন্যদিকে, গবেষণায় দেখা গেছে, সরাসরি সংক্রমণ ছাড়াও দু ভাবে করোনা সংক্রমণ হতে পারে। প্রথমত কিছু লোক যারা জানেন না যে তারা সংক্রামিত হয়েছেন। কিন্তু তারা এটি অন্যকে দিতে পারছেন। একে অ্যাসিপ্টোমেটিক স্প্রেড বলে। আর দ্বিতীয়ত সংক্রমণের কোনও লক্ষণ লক্ষ্য করার আগেই আপনি এটি অন্যকে ট্রান্সফার করতে পারেন। যাকে বলা হয় প্রিপ্মোম্যাটম্যাটিক স্প্রেড। তবে সম্প্রতি গবেষণা বলছে এই দুটো বিষয় ছাড়াও আরও একভাবে মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। আর তা হলো বায়ুবাহিত। ধরুন কোনো একটি মানুষ করোনা সংক্রমিত। সেক্ষেত্রে সেই মানুষটি যে বাতাসে হাঁচছেন বা কাশছেন অথবা নিশ্বাস নিচ্ছেন, সেই বাতাসে তিন ঘন্টা পর্যন্ত রয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস। সেক্ষেত্রে কোনো সুস্থ মানুষ সেই বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে তা ওই মানুষকে সংক্রমিত করতে যথেষ্ট। করোনাকে তাই গবেষকদের মতে বায়ুবাহিত রোগ বললেও বলা যেতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!