এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত তেলিনিপাড়া নিয়ে এবার বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! জানুন বিস্তারিত

গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত তেলিনিপাড়া নিয়ে এবার বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! জানুন বিস্তারিত


একদিকে করোনা পরিস্থিতি যেমন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বাংলায়, ঠিক তেমনই বিভিন্ন প্রান্ত উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। কোথাও গুজব, আবার কোথাও বা অন্য কোনো কারণ। নিত্যনৈমিত্তিক অশান্তির ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বলে দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সম্প্রতি হুগলির তেলিনিপাড়ায় একটি অশান্তি রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে‌।

যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই ঘটনাকে দমন করতে এবং গুজব যাতে না রটে, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। আর এমতাবস্তায় এবার তেলিনিপাড়ার এই অশান্তির ঘটনায় নাম না করে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, বুধবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রমজান মাসে একটা দল দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে বাংলায়। কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না। ওদের কাজই হল দাঙ্গা করা। পুলিশকে বলেছি, যে দাঙ্গা করবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। কাউকে ছাড়া হবে না। অশান্তি করলেই গ্রেফতার।” বস্তুত, বরাবর সাম্প্রদায়িক ঘটনায় অশান্তির অভিযোগে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাড় করাতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দলকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তেলিনিপাড়া যখন অশান্ত, ঠিক তখনই বিজেপির নাম না নিলেও, পরোক্ষে এই ঘটনার জন্য তাদেরকেই দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে তেলেনিপাড়ার অশান্তির ঘটনায় যাদের যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জন্য একটি নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষে চতুর্থ দফার লকডাউনে কি হবে, তা নিয়ে যখন চিন্তায় রয়েছে গোটা রাজ্যবাসী, ঠিক তখনই মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সেই ব্যাপারেও সকলকে আশ্বস্ত করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা চাইছি আরও দোকানপাট খুলুক। করোনা ভাইরাস থাকবে। কিন্তু তার মধ্যে গ্রামীণ জাগরণ ঘটাতে হবে। এখন তো মৎস্য, সেচ দপ্তরের কাজ করতে অসুবিধে নেই।”

তিনি আরও জানান, “100 দিনের কাজ চালু করতে হবে। তার জন্য আরও বেশি লোককে কাজে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকে যারা এই রাজ্যে আটকে পড়েছেন, তাদেরও কাজ দিতে হবে। সামনে পুজো। তার আগেই রাস্তার কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে আরও কর্মীকে কাজে লাগাতে হবে।” অন্যদিকে রেশনে যাতে দুর্নীতি না হয় এবং সকলে যাতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করেন, নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। এমনকি যত দিন যাচ্ছে, তত নানা গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনাও উঠে আসতে শুরু করেছে। সেদিক থেকে বিরোধীদের কটাক্ষের পরিমাণ দিনকে দিন বাড়ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অস্বস্তি ঢাকতে তেলেনিপাড়ার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!