এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সরকারি হাসপাতালের “বেড নেই” বলে দায় এড়ানো যাবে না! স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

সরকারি হাসপাতালের “বেড নেই” বলে দায় এড়ানো যাবে না! স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী


বিভিন্ন সময়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের অপ্রতুলতা দেখা যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড না থাকার কারণে রোগীদের ভর্তি নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। আর রোগী প্রত্যাখ্যানের এই অভিযোগ কমাতে এবার মাঠে নামতে দেখা গেল স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সরকারি হাসপাতালের বেড না থাকার জন্য দায় এড়ানো চলবে না, বরঞ্চ মানবিক হয়ে রোগীকে অন্যত্র ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে এবার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, সোমবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে আসার আগে হঠাৎই ফোরশোর রোডের ধারে দুই নম্বর রাউন্ড ট্যাঙ্ক রোডের বস্তিতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই বিভিন্নজনের অভাব, অভিযোগ শোনার সময় এক যুবক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন যে, তার ভাই অসুস্থ। সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে তার ভাইকে তিনি হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। যেখানে চিকিৎসার বিল হয়েছে প্রায় 92 হাজার টাকা। যা তাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর বস্তিবাসীর অভাব, অভিযোগ শোনার পরই হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই সেই যুবকের কথাটি তুলে ধরেন তিনি। এদিনের এই বৈঠক থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গরিব ছেলে কোথা থেকে 92 হাজার টাকা পাবে! রোগীর চাপে হাসপাতালের জায়গা ফাঁকা নাও থাকতে পারে, কিন্তু সেটা বলে দিয়ে রোগীকে অন্যত্র পাঠিয়ে দায়িত্ব এড়ানো যাবে না। আপনার কাছে যখন বেড পেলেন না, তখন রোগী এমন জায়গায় চলে গেলেন যেখানে তার ঘরবাড়ি সব বিক্রি হয়ে গেল!”

একই সঙ্গে হাসপাতাল আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দেন, “আপনি ব্যবস্থা করবেন, যাতে অন্য কোথাও সেই রোগী ভর্তি হতে পারেন। সবাইকে এই ব্যাপারে আরও একটু মানবিক হতে হবে। আর সবাই যদি মনে করেন যে আমি সবকিছু দেখে নেব, আর কেউ কিছু করবেন না, তাহলে এতগুলো লোকের কি প্রয়োজন!” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভিন্ন সময়ে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের প্রত্যাখ্যান করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। যার কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা বেড না থাকাকেই দায়ী করেন।

কিন্তু এই গোটা ঘটনায় যাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যেতে না পারে, তার জন্য এবার সকলকে এই ব্যাপারে মানবিক হবার কথা বললেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বললেও, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করার কথা প্রশাসনের। তাই বেড অপ্রতুল হওয়াই কি এবার চিকিৎসকরা বা হাসপাতালের আধিকারিকরা নিজেদের পকেটের পয়সা দিয়ে রুগীকে অন্যত্র ভর্তির ব্যবস্থা করবেন? মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সরকারি চিকিৎসার সঙ্গে যুক্তদের উপর চাপ কি আরও বাড়ল না?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!