মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হতে দিল্লি যাচ্ছেন, বিজেপিকে ঠেকাতে গিয়ে বাংলাটা না ডুবে যায়: দিলীপ ঘোষ কলকাতা রাজ্য February 15, 2019 লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্য রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজার পারদ চড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে বিজেপির বিরোধিতা করে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্র বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর রাজ্য ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লিতে গেলেও তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা আদৌ পূরণ হবে না বলে এদিন রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে রাজ্য রাজনীতিকে সরগরম করে তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেশে বিজেপি বিরোধী মহাজোট নিয়ে প্রবল কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “জানি না ধরনা করলে বা হাত তুলে ছবি তুলে জোট হয় কিনা! মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেসকে কটা সিট ছাড়বে আর সিপিএমকেই বা কটা সিট ছাড়বে সেটা আগে ঠিক করে নিয়ে এই বিরোধী মহাজোটের লড়াই করুক। কি দুর্দশা দেখুন! কালকেও প্রশ্নপত্র লিক হয়ে গেছে। আর মমতা ব্যানার্জি দিল্লিতে গেছেন প্রধানমন্ত্রী হতে। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে ঠেকাতে গিয়ে বাংলাটাকেই না ডুবিয়ে দেন।” কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিরোধী মহাজোট নিয়ে এহেন মন্তব্য করলেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে বিজেপির একদা ঘনিষ্ঠ শিবসেনা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করলেন তাতে কি সেই বিজেপি চাপে পড়বে না! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “শিবসেনা নিজেরা লড়ে একবার দেখে নিয়েছে। ওরা বিধানসভায় সেকেন্ড পজিশন পেয়েছে। আর বাকি দল বলতে চন্দ্রবাবুর এখন আর কি আছে! পরেরবার অন্ধ্রপ্রদেশে হয়তো বা জগন্মোহন রেড্ডি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর তাইতো চন্দ্রবাবু নাইডু এখন জোটের কথা বলছেন।” অন্যদিকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআই জেড়া এবং এই ঘটনাকে নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজীব কুমার একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার এবং যথেষ্ট বুদ্ধিমান বলেই সকলেই জানত। কিন্তু তিনি এই ভুলটা করলেন কি করে! সিবিআই যখন ডেকেছিল তখন গেলেই তো এই সমস্যা হত না। এখন সিবিআই কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখতে চাই।” পাশাপাশি আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্চ মাসের দিকে দলের ব্রিগেড সমাবেশ করা হতে পারে বলেও এদিন জল্পনা উস্কে দেন দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাজ্য রাজনীতির ময়দান কাঁপিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আপনার মতামত জানান -