প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। যেখানে রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্যোগের টাকা মানুষকে দেওয়ার বদলে ঘনিষ্ঠদের দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী থেকে শুরু করে বিরোধীরা। যার পরবর্তীকালে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কার্যত চাপে পড়েই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ফলে সকলের কাছেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, তৃনমূলের পক্ষ থেকে যেহেতু নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেহেতু তৃনমূলও বুঝতে পারছে যে, তাদের নেতাকর্মীরা কিছুটা হলেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে এতসব হওয়ার পরেও ভয়াবহ দুর্যোগ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলের তরফে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে নবান্নে নয়া দাবি করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে ক্ষতিপূরণের টাকা 99% মানুষ পেয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। সূত্রের খবর, এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে বিরোধীদের একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সরকারের ভালো কাজ অনেকেই দেখতে পায় না। তাড়াহুড়ো করে করতে গিয়ে ভুল হয়েছে। কিন্তু 99% মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বেশি বাড়াবাড়ি করছে।”

আর এখানেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন, তাহলে কি কার্যত চাপে পড়ে 99% মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে বলে দাবি করতে বাধ্য হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কেননা সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই দুর্নীতিমূলক ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে চেপে ধরতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু এই সমস্ত ঘটনার পরেও যখন সেই দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে, ঠিক তখনই নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে 99% মানুষের কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে গিয়েছে বলে নিজের সরকারের সাফল্য তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের দাবি, আসলে এখন দুর্নীতির ঘটনায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিপুল মাত্রায় ধরা পড়তে শুরু করেছে।

তাই চাপে পড়ে ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে মানুষের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বলে বিরোধীদের ঘাড়ে দোষারোপ করতে বাধ্য হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ঘিরে এখন বিরোধীদের তরফে শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।