বাংলায় বাড়ছে গেরুয়া – নিজে গিয়ে সরেজমিনে দেখে পদক্ষেপের পথে তৃণমূলনেত্রী কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য June 25, 2018 সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিছেপি। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে যা তৃণমূল নেত্রীর কাছে বড় চিন্তার কারণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। আর তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে ফের জেলা সফর শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, গত জানুয়ারিতে পূর্ব বর্ধমান থেকে শুরু করে শেষ প্রশাসনিক সভা করেছিলেন তিনি মার্চ মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পৈলানে। তারপর পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে যাওয়ার জন্য আর কোন প্রশাসনিক করা সম্ভব হয়নি। প্রস্তাবিত চীন সফর বাতিল হয়ে যেতেই এবার ফের পূর্ব মেদিনীপুর দিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করতে চলেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরে দলের কোর কমিটির সভা থেকে একাধিক জেলার নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন তাঁর নির্দেশও দিয়েছেন বিভিন্ন জেলার মন্ত্রী থেকে বিধায়কদের। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর এবার বাস্তবে তাঁর সেই কথা জেলার দলীয় নেতৃত্বের কানে প্রবেশ করেছে কিনা তা সরেজমিনে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলা সফর বলে মনে করছে দলেরই একাংশ। তৃণমূল সূত্রের খবর, এবারের পঞ্চায়েতে বেশকিছু জেলার খারাপ ফলাফলের জন্য সেখানকার নেতৃত্বের প্রতি রীতিমত রুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ঝাড়গাম জেলার দায়িত্ব তিনি নিজের হাতে নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে আজ দলনেত্রীর নির্দেশ মত নদীয়ার কৃষ্ণনগরে যাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নবান্ন সূত্রের খবর, শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় ধীরে ধীরে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, দুই দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়াতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত যেখানে দলের ফলাফল খারাপ হয়েছে সেখানেই প্রশাসনিক বৈঠক করে সাধারণ মানুষের মন যাচাই করবার চেষ্টায় তৎপর হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে এইসব প্রশাসনিক বৈঠক করে দলীয় সংগঠনকে যেমন চাঙ্গা করতে চাইছেন তৃণমূলনেত্রী ঠিক তেমনই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে নিজের জনমোহিনী ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে কয়েকটি জেলার ধ্বসে পড়া ভোটব্যাঙ্ককে পুনরুদ্ধার করাও তাঁর পাখির চোখ। আপনার মতামত জানান -