দেড় বছর হয়ে গেলেও ‘গদ্দারকে’ ভুলতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী! ‘গদ্দার’ শুধু মুচকি হেঁসে উইকেটের পর উইকেট ফেলতেই ব্যস্ত! কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য February 4, 2019 প্রিয় বন্ধু বাংলা এক্সক্লুসিভ – বাংলার আকাশ-বাতাস যখন শিউলির গন্ধে ম-ম করছে তখনই এক অক্টোবরের সকালে রাজ্য-রাজনীতিকে চমকে দিয়ে তৎকালীন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত দুনম্বর নেতা মুকুল রায় ঘোষণা করেছিলেন – তিনি শাসকদলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন। বেশ কিছুদিন ‘সাসপেন্স’ বজায় রেখে অবশেষে নভেম্বরের এক অপরাহ্নে একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে গেরুয়া শিবিরে পদার্পন করেন তিনি। সেই সময়ে, এই নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মত হাতে গোনা কয়েকজন শীর্ষনেতা ও তৃণমূল সমর্থকরা অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়কে। ছাপার অযোগ্য শব্দগুলো বাদ দিলে যে কটাক্ষের মূল বিষয় ছিল – মুকুল রায়ের রাজনৈতিক উত্থান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। তৃণমূল নেত্রীর কল্যানেই কাঁচরাপাড়ার অখ্যাত গলি থেকে তিনি দেশের রেলমন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। আর তাই, সেসব ভুলে দলের প্রতি অনুগত না থেকে এবং দল ছেড়ে মুকুলবাবু একপ্রকার ‘গদ্দারি’ করেছেন। যদিও নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মাথায় না থাকায় মুকুলবাবু বিজেপিতে গিয়ে ‘কেশাগ্রও উৎপাটন’ করতে পারবেন না! আর তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের সেই অভিমতকে মান্যতা দিয়ে পরবর্তীকালে এক বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নাম না করে মুকুল রায় সম্পর্কে একই কথা জানান স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে সেদিন ইঙ্গিতে এক ‘গদ্দারের’ সম্পর্কে যা বলেছিলেন তা ইঙ্গিত করে তৃণমূল ত্যাগী মুকুল রায়কেই। আর, গতকাল থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে আলোড়ন জাতীয় রাজনীতিতে শুরু করেছেন – তার সূচনা হয়েছিল পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে দাঁড়িয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেখানে অনেক কথার মাঝেও তিনি যে ‘গদ্দারকে’ ভোলেননি – স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ‘গদ্দারদের সর্দার’ বলে অভিহিত করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে দিয়ে এই সিবিআই লাগানোর কাজের ইন্ধনটা আদতে লাগাচ্ছেন মুকুলবাবুই। অন্যদিকে, মুকুলবাবুর অনুগামীদের বক্তব্য, মুকুলবাবু নাকি এখন শুধু মুচকি হাঁসছেন! যেসব রাজনৈতিক বালখিল্য অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে করা হচ্ছে – তা যে শুধু হাসিরই উদ্রেক করে তা বুঝে গেছে বাংলার জনগণ বলেও দাবি মুকুলবাবুর অনুগামীদের। এমনকি তাঁদের বক্তব্য, দাদা (মুকুল রায়), তাই এইসব কথার মাঝে না থেকে নিজের কাজটাই করে যাচ্ছেন সন্তপর্ণে! মুকুলবাবুর আরেক ঘনিষ্ঠ অনুগামীর বক্তব্য, মুকুলবাবুর হাত ধরে সৌমিত্র খাঁ ও ভারতী ঘোষ ইতিমধ্যেই এসে গেছেন গেরুয়া শিবিরে। আর যখন ‘মিথ্যা মামলা’ সাজানোর জায়গা থাকবে না, তখন শুধু দেখবেন উইকেট পড়া কাকে বলে! তিনি জোরের সঙ্গে আরও জানালেন, মুকুল রায়ের অস্তিত্ব আজ শাসকদল অস্বীকার করতেই পারে, কিন্তু যখন দলের নেতারা ক্রমশ শহুরে হয়ে একের পর এক ফিতে কাটতে বা উৎসবের আমেজে ব্যস্ত, তখনও কিন্তু মুকুল রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরে থেকে সংগঠনটা সাজিয়ে গেছেন। যাইহোক, শাসকদলের যুবরাজ তো বলেছিলেন ইচ্ছা করলে একরাতেই নাকি ২ লক্ষ মুকুল রায় তৈরী করে নিতে পারেন – তাহলে এখনও কেন ‘গদ্দার, গদ্দার’ বলে আফশোস! আপনার মতামত জানান -