এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ঘিরে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন! বিধানসভার আগে ঘুম উড়বে শাসকদলের?

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ঘিরে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন! বিধানসভার আগে ঘুম উড়বে শাসকদলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পর এই কর্মতীর্থ নামে একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় তৈরি হয় কর্মতীর্থ। যেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো তাদের নানা সম্ভার নিয়ে বসেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প হিসেবে পরিচিত এই কর্মতীর্থে দুটি ভবন তৈরি হলেও, অন্ডাল এবং আসানসোলে তা এখনও পর্যন্ত চালু করাই সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, গত 2018 সালের ডিসেম্বর মাসে জেলা শিল্প কেন্দ্রের দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অন্ডালের ভাদুর গ্রামের সীমানায় 42 টি দোকান এবং দুটি গুদামঘর বিশিষ্ট দোতলা ভবন তৈরি করা হয়। কিন্তু এখানকার বাইশটি দোকান স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে পরিচালনার জন্য দিয়ে দেওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত তা চালু করা হয়নি বলে অভিযোগ।

একইভাবে আড়াই বছর আগে আসানসোলের রেলপাড়ে এই প্রকল্পের অধীনে একটি ভবন তৈরি করা হলেও, এখনও পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি। কয়েকটি দোকান নিয়মিত খুললেও বেশ কয়েকটি দোকান শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সম্প্রতি এলাকাবাসীরা সেই দোকান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ হয়নি। যার ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়েই তৈরি হয়েছে বড় মাপের প্রশ্নচিহ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন অন্ডালে এখনও পর্যন্ত এই দোকান করা সম্ভব হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে অন্ডালের বিডিও ঋত্বিক হাজরা বলেন, “দার্জিলিংয়ের চা বাগান থেকে চা পাতা এনে তা এখানে প্যাকেট বন্দি করে বাজারজাত করা হবে। এর বেশিরভাগই বিদেশে রপ্তানি হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিমানবন্দর ব্যবহার করা হবে।” কিন্তু যারা দোকান নিয়েছিলেন, তারা কেন দোকান খুলছেন না !

এদিন এই প্রসঙ্গে এক দোকান মালিক খুরশিদ আলম বলেন, “আমি দোকান খুলতে গিয়ে দেখি, ক্রেতারা আসছেন না। বাজারটির আরও প্রচার দরকার।” কিন্তু যখন ব্যবসায়ীদের এই সমস্যা হচ্ছে, তখন কেন তারা সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল পৌরসভার পক্ষ থেকে যিনি প্রকল্পটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে, সেই রবিউল ইসলাম বলেন, “কেন মালিকরা দোকান খুলছেন না, তা বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা পুরো কমিশনার খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, “বেকারদের স্বাবলম্বী করে তুলতেই এই উদ্যোগ সমস্যা থাকলে মেটানো হবে। কিন্তু দোকান না খুলে ফেলে রাখা যাবে না। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।” তবে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্প দুই জায়গায় কার্যত বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে, তাতে হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে তা কতটা চাঙ্গা করা হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!