প্রশাসন শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের অভিযোগকে মান্যতা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার কলকাতা রাজ্য July 7, 2019 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর যত দিন গিয়েছে, ততই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। তবে বরাবরই শাসকদলের পক্ষ থেকে অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে নিজের দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রাক্তন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে সরব হলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের হোয়াটস্যাপের স্ক্রিনশট সকলের কাছে তুলে ধরেন তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি।আর সেখানেই পুরুলিয়া জেলার প্রাক্তন জেলাশাসক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের কমিশনার অলকেশপ্রসাদ রায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিন সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে অলকেশপ্রসাদ রায় আমাকে গ্রেপ্তার করার হুমকি বার্তা পাঠিয়েছেন। বলছেন, আমি নাকি কাজের বিনিময়ে কাটমানি নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে নাকি সিআইডি তদন্ত হবে। কিন্তু ওনার অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা আমি নেত্রীকে জানিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ ওঠে, তাহলে তদন্ত হোক। কিন্তু এইভাবে একজন প্রাক্তন জেলাশাসক নেত্রীর নাম করে হুমকি দিচ্ছে, তা সত্যিই আমি মেনে নিতে পারছি না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রাক্তন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য করায় এখন পুরুলিয়া জেলা রাজনীতিতে তৈরি করেছে চাঞ্চল্য। অনেকে বলছেন, গত 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে এই জেলাপরিষদ গঠনের কিছুদিন পর থেকেই জেলার উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার নিয়ে তৎকালীন জেলাশাসক অলোকেশপ্রসাদ রায়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়। আর এদিনের এই ঘটনা তারই পরবর্তী পর্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে অনেকে আবার বলছেন, দল এবং প্রশাসনকে পৃথকভাবে চালাতে না পারার জন্যই এখন এই রকম ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দল এবং প্রশাসনের মধ্যে ফারাক রাখতেন, তাহলে দুটোই তার নিজস্ব ধারায় চলত, কিন্তু তা না হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ছড়ি ঘোরানোয় তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। যা ক্রমশ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। ফলে এর জেরে প্রবল অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক দলের। সব মিলিয়ে একদিকে প্রাক্তন জেলাশাসক তথা নিজের প্রশাসনিক আধিকারিক এবং নিজের দলের নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতির দ্বন্দ্ব মিটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা ব্যবস্থার সমাধানের জন্য ঠিক কোন পথ বেছে নেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -