এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে আসার দরকার নেই,কিন্তু বিজেপিতে যাবেন না! কাদের বললেন মুখ্যমন্ত্রী? জানলে চমকে যাবেন

তৃণমূলে আসার দরকার নেই,কিন্তু বিজেপিতে যাবেন না! কাদের বললেন মুখ্যমন্ত্রী? জানলে চমকে যাবেন


একুশের শহীদ মঞ্চ হোক বা তৃণমূলের যেকোনো জনসভা,ঝাঁকে ঝাঁকে বিরোধীদের জোড়াফুলের পতাকা তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে এমন ছবি যেন চোখ মেললেই দেখা যাচ্ছে! আর যে দলে যোগ দেওয়ার জন্য এই ‘লাইন পরে গেছে’ সেই শিবিরের নেত্রী অর্থাৎ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এবার শোনা গেল ভিন্ন ধরণের সতর্কবার্তা। রীতিমত জল্পনা বাড়িয়ে নাকি তিনি বলেছেন, তৃণমূলে আসার দরকার নেই, কিন্তু বিজেপিতে যাবেন না!

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভার অধিবেশনের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পরেই দলবেঁধে বাম বিধায়কদের যেতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারের দিকে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁরা। রাজ্যের দালালদের দাপটের কারণেই কৃষকরা ফসলের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না, নিদেনপক্ষে ২ কোটি মানুষ ডিজিট্যাল রেশনকার্ড পাচ্ছে না – অভিযোগে সরব হয়ে ওঠেন বাম বিধায়করা।

এর পাশাপাশি সব জায়গাতেই বিরোধী বিধায়করা প্রশাসনের বঞ্চনা এবং অসহযোগিতার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিধায়কদের তহবিলে অর্থ খরচ, গীতাঞ্জলী আবাসন প্রকল্পে গরীবদের বাড়ি বানানোর জন্য বরাদ্দ টাকা, জেলাস্তরে বিভিন্ন সরকারি কমিটির বৈঠকে ডাক না পাওয়া – মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বঞ্চনার অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা পেশ করেন বাম বিধায়করা।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, বাম বিধায়কদের প্রতিটি অভিযোগ বেশ মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরেই ফসলের ন্যায্য দাম এবং ডিজিট্যাল রেশন কার্ড পাওয়ার ব্যাপারটি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দায়িত্বে ছাড়েন তিনি। এছাড়াও সুজনবাবুদের বলেন যে, কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাঁকে যেন আগেভাগে জানানো হয়। এছাড়া আরো জানান যে, বিধানসভার জনস্বার্থবাহী ইস্যুগুলি নিয়ে সমস্যায় পড়লে যেন অবিলম্বে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাম বিধায়করা।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এসব নির্দেশের প্রেক্ষিতে সুজনবাবু পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সব ইস্যুতে সরাসরি জানানো কি আদতে গনতান্ত্রিক পদ্ধতি? এর বদলে মুখ্যমন্ত্রীই কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ আগেই দিয়ে দিচ্ছেন না? আর এরপরেই তিনি কার্যত বোমা ফাটান মুখ্যমন্ত্রীর সামনে। দলীয় নেতা-কর্মী-বিধায়কদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর জন্য শাসকদল ও প্রশাসন মিলে কিভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে – সরাসরি উত্থাপন করেন সেই প্রসঙ্গ।

সুজনবাবুর অভিযোগ, তৃণমূলের দলীয় নেতা-কর্মীরা ভয় অথবা প্রলোভন দেখিয়ে বাম বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা করছেন। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্যে নাকি বাঁকুড়ার বাম বিধায়ক অজিত রায়ের কাছে রীতিমতো হুমকি গেছে একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারের তরফ থেকে। যদিও একথা শোনার পর নেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এমন কোনো নির্দেশই তাঁর দলের তরফ থেকে যায়নি। বামেদের কোনো বিধায়কেরও প্রয়োজন নেই তাঁর দলের।

কিন্তু এর সাথে সাথেই তিনি সুজনবাবুদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দেখবেন ওঁরা (বাম বিধায়করা) আবার যেন বিজেপিতে গিয়ে যোগ না দেন! এমনকি বাঁকুড়ার ঘটনা নিয়ে কাউকে ফোন করে রীতিমত ধমকও দেন বাম বিধায়কদের সামনেই। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ‘সুপরামর্শ’ পেয়ে পাল্টা ‘সুপরামর্শ’ দিতেছড়েননি সুজনবাবুরাও। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কিভাবে কোথায় বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় যোগাযোগ রেখে চলছেন, সেই তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুচারুরূপে পৌঁছে দেন তাঁরা।

তবে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই যেমন মুখ্যমন্ত্রী বামদের তীব্র আক্রমন করেন – তা সে জনসভাতেই হোক বা বিধানসভার অন্দরে, এই বৈঠক ছিল সম্পূর্ণ তার ভিন্নমেরুর। সম্পূর্ণ সৌহার্দ্যপূর্ন পরিবেশে বামেদের কথা শোনেন ও প্রতিকারের চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা গেছে। যদিও সমগ্র ঘটনায় টিপ্পনি কাটতে ছাড়ছেন না বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, গেরুয়া শিবিরের চাপে পরেই এখন বামকেও আগলাতে হচ্ছে তৃণমূল নেত্রীকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!