এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে লন্ডনে গিয়ে চুরির দায়ে ধরা পড়লেন নামী সাংবাদিক

মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে লন্ডনে গিয়ে চুরির দায়ে ধরা পড়লেন নামী সাংবাদিক


মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে লন্ডনে গিয়ে চুরির দায়ে ধরা পড়লেন কলকাতার এক নামী সংবাদপত্রের নামী সাংবাদিক। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত, ফলে শোরগোল পরে গেছে লন্ডন থেকে কলকাতা – সর্বত্র। কলকাতার এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর গত লন্ডন সফরে তাঁর সঙ্গী হন তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু সাংবাদিক, যাঁরা নাকি প্রায় প্রতি সফরেই মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন। এরপর লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানে লন্ডনের এক প্রবাসী শিল্পপতি মুখ্যমন্ত্রী সহ মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের লন্ডনের এক নামী পাঁচতারা হোটেলে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। ওই পাঁচতারা হোটেলে রূপোর কাঁটা-চামচে খেতে দেওয়া হয়, যা দেখে লোভ সামলাতে পারেননি বেশ কিছুজন। ধরা পড়া সেই সাংবাদিক সহ অনেকেই সেই রূপোর কাঁটা-চামচ পকেটস্থ করে ফেলেন। কিন্তু তা ধরা পরে যায় সেই হোটেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের চোখে। পুরো ঘটনাই রেকর্ড হয়ে থাকে হোটেলের সিসিটিভিতে।
কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর মত সম্মানীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে ব্যাপারটা নিয়ে বেশি হইচই করতে চায় নি, কেননা এতে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান নিয়ে টানাটানি হত। তাই হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, কেউ যদি হোটেলের কোনো জিনিস নিয়ে থাকেন, তা যেন হোটেলকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অন্য যাঁরা রূপোর কাঁটা-চামচ পকেটস্থ করেছিলেন এই ঘোষণার পরই তাঁরা সন্তপর্ণে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ধরা পড়া সাংবাদিক, আরো বেশি ‘চালাকি’ করতে যান। তিনি অন্য আরেক নামী পত্রিকার সাংবাদিকের ব্যাগে নিজের চুরি করা রূপোর কাঁটা-চামচ ঢুকিয়ে দেন। কিন্তু এ ঘটনাও হোটেলের সিসিটিভিতে ধরা পরে যায়। এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে ওই সাংবাদিককে সরাসরি চুরি করা সামগ্রী ফেরত দিতে বলা হয়, নচেৎ পুলিশে খবর দেবার কথা বলা হয়। সাংবাদিক মহাশয় যখন বুঝতে পারেন যে তাঁর কুকীর্তির সবটাই রেকর্ড হয়ে গেছে, তখন কথা না বাড়িয়ে চুরির কথা স্বীকার করে নেন। এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষ আবারো মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানার্থে, ওই সাংবাদিককে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ৫০ পাউন্ড জরিমানা করে ছেড়ে দেয়।
ওই সংবাদপত্রের খবর থেকে আরো জানা যাচ্ছে, এই সাংবাদিক ব্যক্তিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতটাই ঘনিষ্ঠ যে, কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক পাশে অন্য সাংবাদিকদের দিকে মুখ করে বসে থাকেন। আর তাঁর এইরকম কুকীর্তি এই প্রথমবার নয়, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য বিদেশ সফরে গিয়ে একই কান্ড ঘটিয়ে বাংলা তথা দেশের নাম ডুবিয়েছেন, তবুও কোনো ‘অলৌকিক’ ক্ষমতায় তিনি আবারো মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদপত্রে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!