বড় ধাক্কা শাসকদলে, তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শীর্ষনেতা বিশেষ খবর রাজ্য February 26, 2018 বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া আজ নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার পেজে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আজ থেকে সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। তিনি জানিয়েছেন, আজ থেকেই আমি সরকারিভাবে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যপদ ছাড়ছি এবং দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমি এখন কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। বাইচুং ভুটিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। তৃণমূলনেত্রী গত লোকসভা ভোটে তাঁকে প্রথমে তাঁর নিজের রাজ্য সিকিম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াতে বলেন, কিন্তু বাইচুং রাজি না হওয়ায় পাহাড়ি ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে দার্জিলিঙের মত কঠিন আসনে লড়তে পাঠান। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থিত বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়ার কাছে প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে হেরে গেলেও, কঠিন আসনে এই ফল শাসকদলের কাছে যথেষ্ট উৎসাহিত হওয়ার মত ছিল। আর তাই আবার ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি থেকে বামফ্রন্টের হেভিওয়েট প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবারেও ‘দুর্দান্ত’ লড়াই করে হেরে যান। কিন্তু পাহাড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা চোখ টানে তৃণমূল নেত্রীর। আর তাই তাঁকে উত্তর বঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে বসান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর দলের হয়ে বিভিন্ন প্রচার সভা ও মিটিং মিছিলে নিয়মিত অংশ নিতেন বাইচুং ভুটিয়া। কিন্তু সূত্রের খবর, গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময় থেকেই বাইচুংয়ের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব শুরু হয়। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে সিকিম সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিবাদ চরমে ওঠে। সেই সময়ে তৃণমূল চাইলেও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি তিনি। এমনকি শাসকদলের মিটিং মিছিলেও আর দেখা যায় না তাঁকে। আর এখন তো সরকারিভাবে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্কই ছিন্ন করে দিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই পাহাড়ের রাজনীতিতে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চেয়েছিল শাসকদল, কিন্তু বাইচুং ভুটিয়ার এই আচমকা দল ছাড়ায় তা বড়সড় ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -