সরকারি দফতরের খরচে লাগাম টানতে এবার কড়া নজরদারি মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ খবর রাজ্য December 27, 2017 বন্ধ হলো ‘লেটার অফ ক্রেডিট।’ আগে সরকারি অফিসগুলিতে এই পদ্ধতিতে টাকা তোলা হতো এবং তা খরচ করা হতো।রাজস্ব বিভাগকে আঁধারে রেখে নানান ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্ট চেকের দ্বারা টাকার খরচ করতো। এই সকল কারণে খরচের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন জটিলতা। সকল ঘুরপ্যাঁচেকে শেষ করবার জন্য রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে নতুন পদ্ধতি। পূর্ত, সেচ ও বন দপ্তরের ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইসার এবং পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ডিরেক্টর অব ট্রেজারিসকে চেয়ারম্যান নামক একটি কমিটি। নব সংস্করণ হিসাবে কাজ করবে এই কমিটি। এছাড়াও ওই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন অর্থ দপ্তরের যুগ্ম সচিব, ওই দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি, অর্থ দপ্তরের ই-গভর্ন্যান্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি সেক্রেটারি, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অব ট্রেজারিস, অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব, বন দপ্তরের আর্থিক উপদেষ্টা, পূর্ত দপ্তরের আর্থিক উপদেষ্টা, সেচ দপ্তরের আর্থিক উপদেষ্টা, পূর্ত দপ্তরের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার বা তাঁর উচ্চ পদমর্যাদার ইঞ্জিনিয়ার ও বন দপ্তরের চিফ কনজারভেটর। খুব শীঘ্রই এই কমিটির বৈঠক ডেকে রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি অর্থ দফতরের থেকে তোলা টাকা এবং খরচের উপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দিয়েছেন।কোনো দফতর যদি দেয় টাকা খরচ করতে না পারলে তা ফিরিয়ে নেবার কথাও তিনি জানান। পাশাপাশি সকল দফতরকে অনলাইন মাধ্যমে অর্থের লেনদেনের নির্দেশ দেন তিনি।একই সাথে জোর দেওয়া হয় ই গভনেন্সের উপর। আপনার মতামত জানান -