এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডিএ মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ডিএ মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দেয় – ডিএ সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেই ডিএর হার কি হবে বা তা বছরে কতবার করে দেওয়া হবে, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাটকে নির্দেশ দেয়। সেখানে, একবার হাইকোর্ট, একবার স্যাট দৌড়ে, ‘ফাইল মিসপ্লেসড’ হয়ে গেছে ‘বাহানা’ বানিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারল না রাজ্য সরকার।

আজ এক ঐতিহাসিক রায়ে স্যাট জানিয়ে দিল, সিপিআই মেনেনি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। একইসঙ্গে ২০০৬ সাল থেকে দিতে হবে এরিয়ার। স্বাভাবিকভাবেই এই রায়ের ফলে অত্যন্ত খুশি ছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহল। কিন্তু, তার সঙ্গেই আশঙ্কার মেঘ উঁকি মারছিল, যে আদালতের নির্দেশ আদৌ মানবে কিনা রাজ্য সরকার। কেননা, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ডিএর দাবিকে ‘ঘেউ ঘেউ করবেন না’ বলে কটাক্ষ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি মাত্র কদিন আগেই, প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে নাম না করে শিক্ষক আন্দোলনের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন – কেন্দ্রীয় হারে বেতন চাইলে কেন্দ্রে চলে যান! তাছাড়া, তাঁর আমলেই পে-কমিশন সম্ভবত ‘বিশ্বরেকর্ড’ করে চার বছরে গড়িয়েছে। সবথেকে বড় কথা, তাঁর অনুমতি না থাকলে ডিএ মামলা নিয়ে এত টালবাহানা করে ‘তারিখ পে তারিখ’ খেলে মামলা বিলম্বিত করার কথা ভাবতেন কি সরকারি আইনজীবীরা। আর তাই, নিজেদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এতকিছুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দেবেন না!

আর বাস্তবে সেই আশঙ্কাই এবার সত্যি হওয়ার পথে। স্যাটের স্পষ্ট নির্দেশিকা সত্ত্বেও, এরিয়ার তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় হারেও ডিএ পাবেন কিনা সরকারি কর্মচারীরা তা নিয়েই জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, বেতন কমিশন অনুযায়ী টাকা দিতে হবে, সেটা সরকারের কাছে চাপের। টাকা দিতে আপত্তি নেই, টাকা থাকলে। কিন্তু সরকারের তো এত টাকা নেই। কষ্ট করে করতে হচ্ছে।

এখানেই শেষ নয় – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও সংযোজন করেন, সব চাইলেই পাওয়া যায় না। সরকারের টাকার অবস্থা ভাল নয়। বেশি টাকা খরচ করতে দেওয়া যাবে না। এবছর আমাকে ৫৬ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হবে। এত কিছু বিনামূল্যে করতে হচ্ছে, এত টাকা কোথা থেকে আসবে? তবে ১২৩ শতাংশ ডিএ আমাদের সরকারই দিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরেই কর্মচারী মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে, হাইকোর্ট-স্যাট যতই সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিক, যতই জিএসটি বা রাজস্ব আদায় বা কেন্দ্রীয় অনুদান বাড়ুক – সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বা এরিয়ার পাওয়া হয়ত স্বপ্নই থেকে যাবে এই সরকারের আমলে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!