এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে অর্থ দিতে তৃণমূলের মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠান! রেগে লাল হেভিওয়েট সাংসদ

মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে অর্থ দিতে তৃণমূলের মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠান! রেগে লাল হেভিওয়েট সাংসদ


এবার মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে অর্থ দিতে গিয়ে তৃণমূলের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান দেখে বেজায় ক্ষিপ্ত হলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কার্যত কড়া সুরে ধমক দিলেন তিনি। আর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে তৃণমূল সাংসদ কড়া ধমক দেওয়ায় এখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বস্তুত, করোনা ভাইরাসের মত সঙ্কটজনক ভাইরাসকে মোকাবিলা এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দুর্যোগের মোকাবিলা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিল গঠন করে সেখানে নানা মানুষ তাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করছেন। সেদিক থেকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার দুপুরে গোঘাটের কামারপুকুর চটিতে তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ত্রান তহবিল দেওয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের জমকালো রূপ দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন শ্রীরামপুরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা যায়, গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানুষ মজুমদারের উদ্যোগেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মঞ্চের সামনে রাখা হয়েছিল প্রায় সাড়ে পাঁচশো চেয়ার। বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে আসা তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা না দিয়ে একে অপরের সঙ্গে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এসে অনুষ্ঠানের ব্যাপকতা দেখে নিজের ক্ষোভ আটকে রাখতে পারেননি তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, দলের নেতাকর্মীরা কল্যানবাবুকে সংবর্ধনা দিতে এগুনো মাত্রই সেই সমস্ত কিছু ফিরিয়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মঞ্চ করে এসব হবে জানলে আসতাম না। কেন এভাবে মঞ্চ তৈরি হয়েছে!” পরবর্তীতে সেই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি চাইছিলাম না মঞ্চ হোক। সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাটা মানা হচ্ছিল না। তাই বলেছিলাম তাহলে তোমরা থাকো। আমি নেমে যাচ্ছি। তারপরে ওরা অবশ্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্মসূচি পালন করেছে। সংবর্ধনা নিইনি। এখন এসব সময় নয়।” আর কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে এখন তার দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা জমকালো যে আয়োজন করে অনেকটাই বিপাকে পড়লেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! কেন এইভাবে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ মুহূর্তে সামাজিক দূরত্বকে উপেক্ষা করে এত জমকালো অনুষ্ঠান করা হল? অনলাইনে কি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ পাঠানো যেত না? সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠান করার কি প্রয়োজন ছিল? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এরকমটাই দলের নির্দেশ।” কিন্তু সত্যিই কি তাই এটাই দলের নির্দেশ! এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “দলের নির্দেশ থাকলেও মঞ্চ ওরা নিজেদের উদ্যোগেই করেন।” আর এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “মঞ্চ থেকে সংসদের নেমে যাওয়ার চেষ্টা স্রেফ নাটক। করোনা সংক্রমণ নিয়ে ওদের মাথাব্যাথা নেই।” তবে কল্যানবাবু গোটা ঘটনায় দলের এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বিরক্ত প্রকাশ করলেও, তার দলের এই উদ্যোগ নিয়ে সত্যিই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেননা ভয়াবহ এই মুহূর্তে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!