এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কোচবিহার পুরভোট নিয়ে এবার তৎপরতা বাড়ছে রাজ্যের শাসকদলের

কোচবিহার পুরভোট নিয়ে এবার তৎপরতা বাড়ছে রাজ্যের শাসকদলের

নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত। কিন্তু তার মধ্যেই এসে গেছে 2020 সাল। সামনের বছর অর্থাৎ 2021 সালে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগেই এবছর রাজ্যজুড়ে পুরসভার ভোট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রাজ্যের অর্ধেক জায়গা জুড়েই হবে এবার পুরসভা ভোট। আর তাতেই বিধানসভা ভোটের হাওয়া কিছুটা হলেও পরিলক্ষিত হবে। তাই পুরসভা ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে পড়ে লেগেছে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।

এদিন কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে মিছিল। আর তারপরেই দলীয় আলোচনা সূত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি কোচবিহার পুরসভা ভোট নিয়ে বক্তব্য রাখলেন। তিনি বলেন, এলাকায় সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। সূত্রের খবর, এদিন সুব্রত বক্সীর সাথে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভুষণ সিং ও অন্যান্যদের আলোচনা হয়। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, তৃণমূল সূত্রে খবর, কোচবিহার পুরসভা ভোটের আগে প্রার্থী নির্বাচন করতে শহরের প্রতিটি এলাকায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় যার নাম উঠে আসবে, তাঁকেই প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা হবে বলে খবর। এপ্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিং জানিয়েছেন, সুব্রত বক্সীর দেওয়া নির্দেশের কথা। এবং সর্বতোভাবে তিনি এই নির্দেশ মেনে চলার কথা বলেন। অন্যদিকে, দলের জেলা সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন একইভাবেই বলেন কোচবিহার পুরসভা ভোটের জন্য এলাকায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই প্রার্থী নির্বাচন হবে। যদিও এর আগেও এভাবেই প্রার্থী নির্বাচন হয়েছে। তবে বিনয়বাবু আরও জানান, এখনো এলাকায় অনেক কাজ বাকি আছে, যেগুলি সম্পন্ন হবার পরেই পুরসভা নিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আগামী দিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের রূপরেখা সাজাতে ইতিমধ্যে বিজেপি, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তুত হচ্ছে। লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির লক্ষ্য এ রাজ্যের মসনদ দখল। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে 2021 সাল পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই রাজ্যজুড়ে পুরভোট। আর এই পুরভোটে বিধানসভা নির্বাচনের কিছুটা ছাপ পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও আগামীদিনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বঙ্গ বিজেপির খোলনলচে বদলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!