কোটি কোটি টাকা দিয়ে উগ্র হিন্দুত্ত্ব প্রচার, স্টিং অপারেশনে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য জাতীয় বিশেষ খবর March 29, 2018 একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে প্রকাশিত হলো কিছু সংবাদমাধ্যমের অনৈতিক ও অসাধু কার্যকলাপ সম্পর্কিত কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্টিং অপারেশন টি পরিচালনা করেছেন অনিরুদ্ধ বহেলের সংবাদ ওয়েবসাইট কোবরাপোস্ট। আর সম্পূর্ণ অভিযান টি একক ভাবে সম্পাদন করেছেন কোবরাপোস্টের সাংবাদিক পুষ্প শর্মা । কোবরাপোস্ট সূত্রের খবর অনুযাই ৬ থেকে ৫০ কোটি টাকার মতো টোপ দিয়ে সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলিকে বলা হয়েছিল, প্রথমে মাস তিনেক হিন্দুত্ব প্রচার করতে হবে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করে একটা অনুকূল আবহাওয়া তৈরী করতে হবে। তারপর প্রচারে উত্তেজনা বাড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভোটদাতাদের মধ্যে মেরুকরণ ঘটাতে হবে। মোহন ভাগবত, বিনয় কাটিয়ারদের মতো কট্টরপন্থীদের বক্তব্য বেশি করে প্রচার করতে হবে। নির্বাচন কাছে এসে গেলে নিশানা করতে হবে বিরোধী নেতাদের। রাহুল গান্ধীকে ‘পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ করা, মায়াবতীকে ‘বুয়া’ বলা, অখিলেশ যাদবকে ‘বাবুয়া’ বলা- এই সব করতে হবে। এইসব কাজ করার জন্যে প্রথমে খবরের কাগজ, টিভি, ওয়েব পোর্টাল, সংবাদ সংস্থা মিলিয়ে ডজন তিনেক সংবাদমাধ্যমের উচ্চপদের নির্ভরযোগ্য কর্তাদের নিশান করা হয়েছিলো। আর ওনারা সকলে ঐ প্রলোভনে পা দেন। স্টিং অপারেশন টির সাংকেতিক নাম রাখা হয়েছে অপারেশন ১৩৬। প্রথম দফায় প্রকাশ করা হয়েছে ৭টি টিভি চ্যানেল, ৬টি সংবাদপত্র, ৩টি ওয়েবসাইট এবং ১টি সংবাদ সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তার বিবরণ। এই সংবাদ মাধ্যমগুলি হলো ইন্ডিয়া টিভি, সব টিভি, সমাচার প্লাস ইত্যাদি চ্যানেল, ডিএনএ, দৈনিক জাগরণ, অমর উজালা, স্বতন্ত্র ভারত ইত্যাদি কাগজ, রেডিফ ডটকম পোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ইউএনআই প্রভৃতি। কোবরা পোস্ট সূত্রের খবর অনুসারে অধ্যাত্মবাদের নামে হিন্দুত্ব প্রচার, সংবাদের ছলে বিজ্ঞাপন প্রচার এইরকম কাজে তালিকাভুক্ত প্রায় সব সংবাদমাধ্যম কর্তাই রাজী হন এবং চুক্তিমূল্যের বেশিরভাগটাই নগদে নিতেও তারা রাজী হয়েছিলেন। এমনকী টাকার জোর কতটা তা যাচাই করতে মোদির সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে খাটো করে খবর করতে হবে এমন প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এদের মধ্যে একদিকে যেমন আছেন অরুণ জেটলি, জয়ন্ত সিংহ, মনোজ সিংহ, মেনকা গান্ধী আর তাঁর ছেলে বরুণ গান্ধী অন্যদিকে আছেন অনুপ্রিয়া প্যাটেল, উপেন্দ্র কুশওয়া, ওমপ্রকাশ রাজভরের মতো শরিক নেতা।যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -