এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেসের সঙ্গে আপের দূরত্ব মেটাতেও কি মধ্যমনি মমতা? বাড়ছে জল্পনা!

কংগ্রেসের সঙ্গে আপের দূরত্ব মেটাতেও কি মধ্যমনি মমতা? বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করতে এবং বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন করতে ইতিমধ্যেই নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে গিয়ে একের পর এক বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। কংগ্রেসের কমলনাথ থেকে শুরু করে আনন্দ শর্মা, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে সোনিয়া গান্ধী, সকলের সঙ্গেই বৈঠক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যা দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন একটাই লক্ষ্য, বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন করা।

আর সেই কারণে সকল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে চেষ্টা করলেও, বিজেপি বিরোধী একাধিক দলের সঙ্গে একাধিক দলের যে বনিবনা খুব একটা ভালো নেই, তা বলাই যায়। আর সেই কারণেই কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির দূরত্ব তৈরি হলেও, তা যাতে এবার মিটিয়ে নেওয়া যায়, তার জন্য মধ্যমনি হতে দেখা গেল সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। অর্থাৎ বিরোধী মহাজোট গঠনের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বাস্তব অর্থেই সকলের কাছে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছেন, তা তার দিল্লি সফরে একের পর এক বৈঠকের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, বুধবার কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করতে দেখা যায় তাকে। তবে একাংশ বলছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির সখ্যতা খুব একটা ভালো নয়। সেদিক থেকে কংগ্রেস বিরোধী মহাজোটে থাকলে আম আদমি পার্টি বা কেজরিওয়াল থাকবেন কিনা, তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি সেই বিরোধী মহাজোট গঠন হলে এই দুই দলই যদি সেখানে অংশগ্রহণ করে, তাহলে পরবর্তীতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সেই সমস্যা যাতে প্রথম থেকেই মিটিয়ে নেওয়া যায় এবং দুই দলের মধ্যে যাতে কোনোরূপ দূরত্ব তৈরি না হয়, তার জন্য কার্যত মধ্যমণি হতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সকলে মিলে একজোট হয়ে লড়বে সেই ব্যাপারে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপিকে হারাতে হলে সকলকে একজোট হয়ে লড়তে হবে। আমি একা কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, ক্যাডার। আমি একজন স্ট্রিট ফাইটার।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিরোধী মহাজোট গঠনের চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার সেই চেষ্টা সফলতা পায়নি। তৃণমূল নেত্রী চাইছেন, যে সমস্ত রাজ্যে যে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো শক্তিশালী, সেখানে তারা নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে বিজেপিকে চাপে ফেলুক। কিন্তু এক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক বিজেপি বিরোধী দলগুলো নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিতে পারে। আর বিজেপি বিরোধী মহাজোট থেকে যদি একটি রাজ্যে একাধিক দল প্রার্থী দেয়, তাহলে তা নিয়ে তৈরি হতে পারে সমস্যা‌।

সেদিক থেকে ভোট কাটাকুটিতে আবার শেষ হাসি হাসতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এখন থেকেই বিরোধী মহাজোটে অংশগ্রহণকারী যে সমস্ত দল রয়েছে, তাদের সকলের মধ্যে যাতে কোনো বিরোধ না থাকে, সেই চেষ্টা শুরু করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে দিল্লিতে পা রেখে একের পর এক হেভিওয়েট বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে সকলের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তার এই চেষ্টা কতটা সফলতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!