কোকেন কান্ড তদন্তে নয়া মোড়, গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়তে চলেছে এবার সিআইএসএফ জওয়ানরা কলকাতা রাজ্য March 16, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোকেন কাণ্ডে আবার নতুন মোড়। আগেই কোকেন কাণ্ডে ধরা পড়েন বিজেপির যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামী। তারপর তাঁরই কথার সূত্রে ধরা পড়েন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা রাকেশ সিং। এরপর তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততোই একের পর এক পর্দা ফাঁস হচ্ছে। কোকেন কান্ডে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ছে একের পর এক ব্যক্তি। আর এবার তথ্য সংগ্রহ করতে লালবাজারের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হলো সিআইএসএফকে। পুলিশি সূত্রে জানা যাচ্ছে, যেদিন পামেলা গোস্বামীর গাড়ি থেকে কোকেন উদ্ধার হলো, তার আগেরদিন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং গাড়ি করে নিউ আলিপুরে রেইকি করতে বেরিয়েছিলেন এবং জানা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে দুজন সঙ্গীও ছিল। মনে করা হচ্ছে, এই অভিযানে পামেলার গাড়িতে কিভাবে কোকেন রাখা হবে তার ছক কষা হচ্ছিল। পুলিশি তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দুবারই রেইকি করার সময় রাকেশ সিংয়ের সঙ্গে ছিলেন দুজন সিআইএসএফ কর্মী। তদন্তে জানা যায়, গত 18 ই ফেব্রুয়ারি রাকেশ সিং এবং অমৃতরাজকে নিয়ে নিউ আলিপুরে যখন রেইকিতে যান রাকেশ সিং, তখন তাঁর গাড়ির পেছনের সিটে ছিলেন দুজন নিরাপত্তারক্ষী। এবং এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে সিসিটিভির ফুটেজে। আর তাই এবার নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পদক্ষেপ নিলো লালবাজার। খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, এইসব নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য কোকেন তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হয়ে উঠতে পারে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি জানা গিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে রাকেশ সিংয়ের কতজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন? পাশাপাশি তাঁদের নাম এবং বিবরণ জানতে চাওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআইএসএফ এর একটি বিশেষ শাখা আছে যারা ভিআইপিদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি দেখভাল করে। মূলত সেখানেই চিঠি দিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর। যদিও এখনো পর্যন্ত লালবাজারের চিঠির উত্তর দেয়নি সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষ। গোয়েন্দাদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, সিআইএসএফ থেকে যে উত্তর আসবে তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাকেশ সিংয়ের গাড়িতে এবং বাড়িতে যে সিআইএসএফ জওয়ানরা ছিলেন, তাঁদের আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করা হবে। লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিআইএসএফ জওয়ানকে জেরা করতে চায় লালবাজার গোয়েন্দা দপ্তর। পাশাপাশি রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে যারা যাতায়াত করতেন, তাঁদের সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে। কিন্তু তা সত্বেও প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো আরও কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সময়ের সাথে সাথে কোকেন কান্ডের তদন্ত আরও নিবিড় হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোকেন কান্ড আক্ষরিক অর্থে গেরুয়া শিবিরের কাছে চরম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই। অন্যদিকে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শেষমেষ পামেলা গোস্বামীর অভিযোগ সত্য হওয়ার পথে। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবেই ফাঁসানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে কেন পামেলাকে এভাবে ফাঁসানো হল? কোন গোপন তথ্য জেনে ফেলেছিলেন পামেলা? এর পেছনে কি কাজ করছে আরও বড় কোন মাথা? আপনার মতামত জানান -