এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কফিশপে গিয়ে আততায়ীর হামলার মুখে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

কফিশপে গিয়ে আততায়ীর হামলার মুখে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কফিশপে কফি খেতে গিয়ে বড়োসড়ো বিপত্তির মুখে পড়লেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। পুরনো শত্রুতার জেরে এভাবে বিপদের মুখে যে পড়বেন কামারহাটির বিধায়ক, তা বোধহয় নিজেও তিনি ভাবেননি। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর সঙ্গী সাথীদের নিয়ে ডানলপের কাছে একটি কফিশপে যান কফি খেতে। কিন্তু সেখানে গিয়েই ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হলেন তিনি। তাঁর কফি টেবিলের সামনে হঠাৎ করেই এগিয়ে আসে এক ব্যক্তি এবং সামান্য কিছু কথা বলে মদন মিত্রের ওপর আক্রমণ করতে উদ্যত হয় সে। কিন্তু তড়িৎগতিতে মদন মিত্রের নিরাপত্তারক্ষীরা পুরো পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে যখন মদন মিত্র ডানলপের কাছে একটি কফিশপে ছিলেন, ঠিক সেসময় এক ব্যক্তি লাল ধুতি পরিহিত, মাথা মুখ লাল কাপড়ে ঢেকে সাধুর বেশে আসেন। হঠাৎ করেই তিনি মদন মিত্র যে টেবিলে বসে কফি খাচ্ছিলেন, তার দিকে এগিয়ে যান এবং মদন মিত্রকে রীতিমত হুশিয়ারি দিয়ে তাঁর দিকে একটি ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রীতিমতো হকচকিয়ে যান তিনি এবং তাঁর সঙ্গী সাথীরা। যদিও এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারেন মদন মিত্র তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায়। ইতিমধ্যেই বিধায়কের ওপর হামলার চেষ্টায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বরানগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির আসল পরিচয়। সূত্রের খবর, ব্যক্তির নাম প্রদীপ দে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর বাড়ি গাইঘাটায়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে দুটি ফোন এবং বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড। অন্যদিকে বিধায়ক মদন মিত্র এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে রাতের দিকে একটি অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসতো যেখানে তাঁকে রীতিমত হুমকি ও গালিগালাজ করা হতো। তবে তিনি ব্যাপারটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি, তাই কাউকে কিছু বলেননি। কিন্তু মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বরের অফিসেও সোমবার ফোন আসে প্রথমে এই প্রদীপ দের, তারপর নিজেই ওই দক্ষিণেশ্বরের অফিসে পৌঁছে গিয়ে রীতিমতন হম্বিতম্বি করেন। কিন্তু সে সময় দক্ষিণেশ্বরের অফিসে ছিলেননা মদন মিত্র। এরপরে কফিশপে পৌঁছায় অভিযুক্ত।

এক্ষেত্রে মদন মিত্র সন্দেহ প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, তিনি যে কফিশপে রয়েছেন সে কথা কিভাবে অভিযুক্ত জানলো? একইসাথে মদনে মদন মিত্রের সন্দেহ, অভিযুক্ত অন্য কারোর কথায় কাজ করছে। তবে পুলিশের কাছে অভিযুক্ত প্রদীপ দে জানিয়েছে, মন্ত্রী থাকাকালীন মদন মিত্রের দুর্ব্যবহারের জবাব দিতেই তাঁর এই কর্মকাণ্ড। তবে অভিযুক্তের দাবি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে হামেশাই বিধায়ক মদন মিত্রকে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় জনসংযোগ চালাতে। সে ক্ষেত্রে এরকম ছোটখাটো হামলা এড়াতে পারলেও বড়োসড়ো হামলা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের কপালে। মদন মিত্রকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!