কলেজগুলিতে রক্ষী নিয়োগ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত শিক্ষাদপ্তরের,বাড়ছে জল্পনা রাজ্য October 8, 2018 এবার থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই দারোয়ান বা রক্ষী নিযুক্ত হবে কলেজগুলি। এতোদিন এটা রাজ্যসরকারের দায়িত্বের মধ্যে থাকলেও এবার থেকে পুরোপুরিই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হল কলেজ কর্তৃপক্ষের উপর। তারা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা থেকে চারজন রক্ষী নিয়োগ করতে পারবে। গত ৫ অক্টোবর উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে। সাতটি পুরানো পদ বাতিল করে নয়া পদ তৈরি করা হয়েছে। তবে যাঁরা ওই পুরানো পদে এখনো কর্মরত রয়েছেন,তাঁরা অবসরগ্রহন পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন বলে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে ওই সব পদে আর নতুন কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। আংশিক সময়ের জন্য কর্মবন্ধু,ডেটা ম্যানেজার,কো-এড কলেজগুলোর জন্য মহিলা অ্যাটেন্ড্যান্ট সহ ৮ রকম পদের কথা তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে বেসরকারি সংস্থা থেকে নিযুক্ত হওয়া কর্মীদের টাকা সরকার দেবে না কলেজের ফান্ড থেকে দিতে হবে সেটা স্পষ্ট করা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। এরফলে ব্যাপারটা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এতোদিন রক্ষীরা নিয়োগ হতেন সরকারীভাবে। কলেজ ইচ্ছুক প্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে সফলদের প্যানেল তৈরি করে পাঠিয়ে দিত উচ্চশিক্ষা দপ্তরে। এবার সে প্রক্রিয়া উঠে যাচ্ছে। ফলত প্রশ্ন তৈরি হয়েছে কলেজ রক্ষীদের টাকা সরকার দেবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ? এ ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন কলেজ অধ্যক্ষদের তরফ থেকে। রাজ্যসরকারের সিদ্ধান্তে অনেকে সম্মতি প্রকাশ করলেও অধিকাংশরাই এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। এর জেরে কলেজে বাড়তি অার্থিক চাপ আসবে বলেই মনে করেছেন অনেকে। এই সিদ্ধান্তে নিজের আপত্তির কারণ তুলে ধরলেন মণীন্দ্র কলেজের এক কর্তা। তাঁর যুক্তি বিজ্ঞপ্তিতে আর্থিক বিষয় তুলে না ধরায় বোঝা যাচ্ছে না এবার থেকে রক্ষীদের বেতন কলেজ দেবে নাকি সরকার? আর যদি কলেজকে দিতে হয়, সেক্ষেত্রে কলেজের উপর ব্যাপাক আর্থিক চাপ পড়বে। কারণ অল্প আয়ের মধ্য চারজন দ্বাররক্ষীকে বেতন দেওয়া সত্যিই সমস্যার। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে কিছু কিছু কলেজ থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে কথা বলতে দেখা গেল। তাঁদের যুক্তি,দ্বাররক্ষীদের বড় ভূমিকা থাকে বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রনের। তবে ইদানীং দেখা যাচ্ছে সরকারি দ্বাররক্ষীরা বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলত তাঁরা জোর করে কলেজে ঢুকে পড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। সেক্ষেত্রে সরকারি দারোয়ানদের বদলে বেসরকারি দ্বাররক্ষী থাকলে এই সমস্যার সুরাহা হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছেন জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়ও। তবে আদতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত কতোটা উপযোগী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মনে। আপনার মতামত জানান -