এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “কমিশনের নির্দেশে দলীয় সমর্থকদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে” নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক অনুব্রত!

“কমিশনের নির্দেশে দলীয় সমর্থকদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে” নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক অনুব্রত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একের পর এক দফা হয়েছে, কমিশনের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদের সুর আরও চওড়া হয়েছে। বেছে বেছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে যত কান্ড সব যেন বীরভূমে।

ইতিমধ্যেই প্রতিবারের মত এবারেও বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কমিশনের পক্ষ থেকে নজরবন্দি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও স্ব-ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। আর এবার সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। যেখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলের সমর্থকদের থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল তাকে।

সূত্রের খবর, বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই তিনি বলেন, “বীরভূমে নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে সাধারণ লোককে আমাদের সমর্থকদের থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। এখানে একজন আসামী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। তাকে ধরছে না। আমাকে প্রতিবার নজরবন্দি করে। তাতে আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু এইভাবে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করছে, সেটা খারাপ লাগছে। আর কদিন করবে! দুই তারিখের পর তো আর পারবে না।”

অর্থাৎ নেত্রীর সুরেই সুর মিলিয়ে নির্বাচনের আগে কমিশন যে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এক্ষেত্রে বেছে বেছে সাধারণ মানুষ, এমনকি তার দলের কর্মী-সমর্থকদের থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। তবে অনুব্রত মণ্ডল এই অভিযোগ করলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ একাংশ।

বিরোধীদের অনেকের দাবি, আসলে নির্বাচনে এবার পরাজয় নিশ্চিত বুঝে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই অনুব্রত মণ্ডল নির্বাচনের আগে এই ধরনের কথা বলে প্রভাব সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু এসব বলে লাভের লাভ কিছুই হবে না। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে। আর তাতেই গাত্রদাহ হচ্ছে তৃণমূলের। তবে যে যাই বলুক না কেন, শেষ দফার নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নয়া মাত্রা স্থাপন করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!