এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কমিশনের রিপোর্টের পর চাপে পড়েই কি ঘরছাড়াদের ফেরাতে উদ্যোগী তৃণমূল? হেভিওয়েট নেতার পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!

কমিশনের রিপোর্টের পর চাপে পড়েই কি ঘরছাড়াদের ফেরাতে উদ্যোগী তৃণমূল? হেভিওয়েট নেতার পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনায় ঘরছাড়া হতে শুরু করেছিলেন বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা। আর এই অভিযোগ ওঠার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছিল। তবে যতদিন যেতে শুরু করে, ততই এই অভিযোগের সত্যতা যে রয়েছে, তা প্রমাণিত হতে শুরু করে। সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আর সেই রিপোর্টে অনেক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে। যার জেরে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই রিপোর্টের ফলে চাপে পড়ে কি সুর নরম করতে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরকে? যেখানে এলাকা ছাড়া বিজেপি নেতা, কর্মীদের ফেরানোর জন্য এবার উপস্থিত থাকতে দেখা গেল হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে। যার জেরে একাংশ বলছেন, তৃণমূল আসলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অত্যন্ত চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে। তাই পরিস্থিতি যাতে ভবিষ্যতে বেগতিক না হয়ে যায়, তার জন্য এখন থেকেই সুর নরম করে ঘরছাড়া নেতাকর্মীদের ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করে শামিল হতে দেখা গেল তৃণমূলের নেতৃত্বদের বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক খেজুরি 2 নম্বর ব্লকের বারাতলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামানিক। কিন্তু ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা যখন ঘরে ফিরছেন, তখন সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় পরাজিত এই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাসকে। আর এর ফলেই জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলতে শুরু করেন, তৃণমূল এখন যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত প্রমাণিত, তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। আর সেই কারণেই সুর নরম করতে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী গোটা প্রক্রিয়াতে উপস্থিত থেকে কার্যত ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করল বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।

কেন হঠাৎ করে তাকে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি জেনে অনেকে নিজের থেকে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আমরা চাই, তারা নিজেদের বাড়িতে থেকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক। এলাকার বাসিন্দা হিসেবে তাদের সমস্যা কি রয়েছে, তা জানার জন্য পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি হিসেবে আমি উপস্থিত ছিলাম।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অনেক এলাকাতেই তৃণমূল নেতাদের অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সেদিক থেকে এই খেজুরি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করতে পারেনি। তবে তারপর থেকেই সেখানে বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট যাতে তাদের বিরুদ্ধে না যায়, তার জন্য কি এবার সেই ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা বাড়ি ফেরার সময় সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীকে? একাংশ বলছেন, তৃণমূল মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে কোনোমতেই মানতে চাইছে না। তবে এই রিপোর্ট যে তাদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হতে পারে, তা জানেন তৃণমূলের অনেক নেতা নেত্রীরাও। আর তাই এই বিপদ থেকে বাঁচতে এবং নিজেকে বিতর্ক থেকে দূরে রাখতেই পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর ঘরছাড়া বিজেপি নেতা কর্মীদের পাশে থাকার সৌজন্যমূলক উদ্যোগ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!