এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতায় পা দিয়েই ডেপুটি কমিশনার জানিয়ে দিলেন “অল ইস ওয়েল” নয়, তীব্র অসন্তোষ প্রশাসনের ভূমিকায়

কলকাতায় পা দিয়েই ডেপুটি কমিশনার জানিয়ে দিলেন “অল ইস ওয়েল” নয়, তীব্র অসন্তোষ প্রশাসনের ভূমিকায়

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করাতে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে শাসকদলের সন্ত্রাস নিয়ে নানা অভিযোগ করেছিল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, বাম, কংগ্রেস সহ অন্যান্যরা। এমনকি কিছুদিন আগেই রাজ্যের সমস্ত বুথকে অতি স্পর্শকাতর করার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনও করেছিল বিজেপি।

আর এবার বিরৌধীদের সেই অভিযোগকে কিছুটা হলেও সত্যি করে শনিবার রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় উপনির্বাচন কমিশনারের সুদীপ জৈন রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন।

সূত্রের খবর, এদিন প্রথমেই ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। আর সেখানেই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত বুথকে যাতে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা যায় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়। তবে বিরোধীরা এই কথা বলে আদতে বাংলাকে অপমান করছে বলে পাল্টা এই ব্যাপারে সরব হতে দেখা যায় শাসক দলকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতামত শুনে এরপর রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। আর সেইখানেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সূত্রের খবর, এদিন প্রথমেই এই বৈঠকে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই রাজ্য থেকে এত অভিযোগ কেন আসছে? রাজনৈতিক নেতারা কেন বলছেন যে তারা সুরক্ষিত নয়?

আপনারা কি মনে করেন যে এই রাজ্যে “অল ইজ ওয়েল”? আমাদের কিন্তু তা মনে হচ্ছে না!” আর এরপরই কোচবিহারের জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার প্রশ্ন করেন, “ওখানে এত রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে কেন? আপনি এই ব্যাপারে আরও সতর্ক হোন।” পাশাপাশি মালদার জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে সুদীপ জৈন বলেন, “গণনাকেন্দ্র পরিবর্তন করার সময় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আপনি কি আলোচনা করেছিলেন?”

তবে শুধু মালদা বা কোচবিহারই নয়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গন্ডগোল প্রসঙ্গে ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপারের কাছেও বিস্তারিত রিপোর্ট চান ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। অন্যদিকে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ ফ্লেক্স থাকায় কলকাতার দুই নির্বাচনী আধিকারিকের কাজেও অসন্তোষ প্রকাশ করে সুদীপ জৈন বলেন, “ভোট ঘোষণার 24 ঘন্টার মধ্যে এসব খুলে ফেলার নিয়ম থাকলেও সাত দিন হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত তা খুলে ফেলা হচ্ছে না কেন?”

আর সবশেষে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকেও জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য আরও বেশি করে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।আর এরপরই সকলের উদ্দেশ্যে সুদীপ জৈন বলেন, “পক্ষপাতদুষ্ট অফিসারদের নিয়ে কোনো ভাবেই কাজ করা যাবে না। যদি কোনো অফিসার পক্ষপাতদুষ্ট হন তাহলে তার দায় জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকেই নিতে হবে। যদি কেউ কমিশনের নির্দেশ মেনে না চলেন, তাহলে তার তালিকা দেবেন। সেই সমস্ত অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে এসে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনর এহেন বক্তব্য থেকে কিছুটা হলেও পরিষ্কার যে এই রাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা প্রথমে শাসকদলের সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে অভিযোগ তুলেছিল সেই অভিযোগ এবার কিছুটা হলেও সত্যি হওয়ার আঁচ পেয়েছেন সুদীপ জৈন। আর তাইতো পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!