কমিশনের বিরুদ্ধে এবার মমতা ব্যানার্জ্জীর পাশে দাঁড়ালেন দেশের বিভিন্ন অবিজেপি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য April 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর পাশে প্রথম থেকেই সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিভিন্ন অবিজেপি রাজ্যের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি অবিজেপি দলকে একজোট করার জন্য চিঠি পাঠান এবং সেই চিঠির প্রত্যুত্তরে সবাই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে আছেন সেরকমই বার্তা দেন বলে জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তে সারা ভারতের নজর রয়েছে বাংলার দিকে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে 24 ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। এবং তৃণমূলের পাশাপাশি সরব হয়ে উঠল জাতীয় স্তরের একাধিক রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকেরই অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন বিজেপির পক্ষে একপেশে হয়ে কাজ করছে। যার ফলে কমিশনের বিরুদ্ধে তোলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবতীয় অভিযোগ অনেকটাই শক্তি পেতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূল নেত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া নিয়ে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানান, কমিশনের এই সিদ্ধান্ত মূলত বিজেপিকে সাহায্য করেছে। কমিশনের এই ধরনের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রীর প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কমিশনকে একহাত নেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে গণতন্ত্রের উপর আস্থা বাড়ায়। নির্বাচন কমিশনের অবশ্যই প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের জন্য সমানভাবে চিন্তাভাবনা করা উচিত। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর 24 ঘন্টা নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির পরে তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, যারা শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে উত্তেজক মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এই অনুযায়ী কমিশনের কাছে একটি চিঠি গেলে আজকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে আগামী 48 ঘন্টা নির্বাচনী প্রচার বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। এবং মনে করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের ওপর যে অভিযোগ করা হচ্ছে বারংবার যে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে এ রাজ্যে কাজ করছে, তা খন্ডন করার জন্য মরিয়া নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের প্রথম পর্বে একটি অডিও প্রকাশ হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে- যেখানে দুই বিজেপি নেতাকে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে শোনা যায় নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে। এবং পরবর্তীকালে দেখা যায় নির্বাচন কমিশন ওই বিজেপি নেতাদের কথা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যথারীতি এই ঘটনাকে নিয়ে তুমুল জলঘোলা হয় এবং তৃণমূলের তরফ থেকেও বারংবার বলা হতে থাকে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের হয়ে কাজ করছে। যদিও নির্বাচন কমিশন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে শাস্তি ঘোষণা করেছে, তাতে কিন্তু তৃণমূলের এই অভিযোগ ধোপে টিকছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -