এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কমিশনের রিপোর্টে তীব্র অস্বস্তির মুখে তৃণমূল সরকার, রিপোর্টে একাধিক তৃণমূল নেতা দুষ্কৃতী বলে উল্লিখিত

কমিশনের রিপোর্টে তীব্র অস্বস্তির মুখে তৃণমূল সরকার, রিপোর্টে একাধিক তৃণমূল নেতা দুষ্কৃতী বলে উল্লিখিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সরব হয়েছিল রাজ্যের গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগের তীর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকেই ছিল। এই অবস্থায় হাইকোর্টে মামলা করা হয় আক্রান্তদের পক্ষ থেকে। হাইকোর্টের তরফ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় তদন্ত করার এবং রিপোর্ট জমা দেওয়ার। সেই রিপোর্টে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে। সেই রিপোর্টে শাসক দলের একাধিক নেতা এবং মন্ত্রীকে কুখ্যাত দুষ্কৃতীরূপে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে নাম রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক তথা উদয়ন গুহর। বাংলার শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে। একইসাথে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সরকারি আধিকারিকরাও শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে। অন্যদিকেএই রিপোর্টে তৃণমূল নেতাদের শুধু নাম নয়, নাম রয়েছে পাশাপাশি অনেক ছোট-বড় নেতার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী মন্ত্রী, বিধায়ক ছাড়াও অন্তত কাউন্সিলরসহ দশ জনের বেশি হেভিওয়েট নেতার নাম রয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায়। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই রিপোর্ট সম্পর্কে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কার্যত গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, কমিশনের এই রিপোর্টটি সম্পূর্ণ গোপন থাকার কথা। তা বাইরে এলো কিভাবে ? একইসাথে কমিশনের এই রিপোর্ট সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর সুরে কমিশনের অভিযুক্ত অন্যতম নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও জানিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে বিজেপি হেরে গেছে বলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কমিশন তাঁদের নাম করেছে। অন্যদিকে উদয়ন গুহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষপাতহীনতাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি বিরোধীরাও নেমে পড়েছে ময়দানে। কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে মুখর হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টে আগামী শুনানির দিন ঘোষণা হয়েছে 22 শে জুলাই এবং সেখানে রাজ্য সরকারের বক্তব্য রাখার কথা। এই অবস্থায় আগামী দিনে আদালতে রাজ্য তৃণমূল সরকারকে আরও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!