এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কং-বাম শরিকের লড়াই তুঙ্গে? মাত্র এক আসনের জন্যই জটিলতা চরমে উঠতে চলেছে কং-বামের সাধের জোট?

কং-বাম শরিকের লড়াই তুঙ্গে? মাত্র এক আসনের জন্যই জটিলতা চরমে উঠতে চলেছে কং-বামের সাধের জোট?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা এককাট্টা হয়ে লড়াই করেছিল। কিন্তু তারপর আসন নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণে আর ঐক্যবদ্ধভাবে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেনি বাম এবং কংগ্রেস্ কিন্তু একদিকে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত এবং অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে এবার সেই বাম এবং কংগ্রেস জোট করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে দুই দলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে আলোচনা।

আর এই পরিস্থিতিতে আসন নিয়ে যে বাম এবং কংগ্রেস জোটের মধ্যে আবার ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হতে পারে, সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, জলপাইগুড়ি বিধানসভা আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। অন্যদিকে বিগত দিনে পরপর তিনবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আসনে জয়লাভ করা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে বামেদের পক্ষ থেকে যেমন ফরওয়ার্ড ব্লক এই আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে, ঠিক তেমনই কংগ্রেস এই আসনে প্রার্থী দেওয়া থেকে পিছিয়ে না আসায় দুই পক্ষের মধ্যে জলপাইগুড়ি আসন নিয়ে এবার দড়ি টানাটানি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর যদি এই একটা আসন নিয়ে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই বেধে যায়, তাহলে লোকসভা নির্বাচনের মতই গোটা রাজ্যে দুই দলের মধ্যেকার জোট ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা গোবিন্দ রায় বলেন, “জলপাইগুড়ির আসনটি ট্র্যাডিশনাল ফরওয়ার্ড ব্লকের। গতবার কংগ্রেসের হয়ে এখান থেকে সুখবিলাস বর্মা দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু এটাকে স্থায়ী ধরে নিয়ে কংগ্রেস যদি মনে করে যে এটি বাম কংগ্রেস জোটের স্থায়ী আসন হয়ে গেল, তাহলে সেটা ঠিক নয়। আমরা সেই কারণে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছি। এখান থেকে নির্মল বসু ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটের জয়ী হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে কংগ্রেস জিতেছিল। আমি একসময় কংগ্রেসকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলাম। পরে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করার সুবাদে এখানে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল। দ্বিতীয় বার বামেদের সমর্থন নিয়ে সুখবিলাস বর্মা জয়ী হন। কংগ্রেসকে আসন ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু এবার সুখবিলাসবাবু যখন দাঁড়াচ্ছেন না, তখন কংগ্রেসের নিজেদেরই উচিত, ফরোয়ার্ড ব্লককে আসন ছেড়ে দেওয়া। আমরা যে উদারতা দেখিয়েছিলাম, কংগ্রেসের কাছে সেই উদারতা দাবি করতেই পারি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে প্রতিক্রিয়া। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “তারা কোথায় কি আবেদন জানিয়েছেন, সেটা পুরোপুরি তাদের বিষয়। 2011 সালে সুখবিলাস বর্মার সঙ্গে গোবিন্দবাবুর লড়াই হয়েছিল। গোবিন্দবাবু পরাজিত হয়েছিলেন। এটি গোবিন্দবাবুর মনে রাখা উচিত। ফরওয়ার্ড ব্লকের এই সমস্ত দাবি-দাওয়া ও কথাবার্তা জোট গঠনের পরিপন্থী। এটা কংগ্রেসের জেতা আসন। এখানে কংগ্রেস দাঁড়াবে। কোনো অর্থেই তা ছাড়া হবে না। এসব কথার কোনো মূল্য নেই “।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় স্তরে যেভাবে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেসের মধ্যে এখন থেকেই প্রার্থী দেওয়া নিয়ে রীতিমতো তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে, তাতে যদি অবিলম্বে এই সমস্যা না মেটে, তাহলে ভবিষ্যতে তা বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে একদম উপর থেকেই এই জলপাইগুড়ি আসন নিয়ে দুই দলের মধ্যে দড়ি টানাটানি বন্ধ করা উচিত। আর তা যদি না হয়, তাহলে সমগ্র স্তরে এই জোট রাজনীতির ওপর প্রভাব পড়বে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাম এবং কংগ্রেস এবার তৃনমূল ও বিজেপিকে আটকাতে যথেষ্ট উদ্যোগী। দুই দলের নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার আলোচনায় বসা হয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়ি আসন নিয়ে যেভাবে ফব এবং কংগ্রেসের মধ্যে তরজা শুরু হয়ে গেল, তাতে পরিস্থিতি বেকায়দায় হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন অচিরেই এই আসন নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা যদি দুই দল না মেটায়, তাহলে সমগ্র জোট ব্যাবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!