এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজনৈতিক বনধ অসফল করার চেষ্টা হলেও ২১ শে জুলাইয়ের ‘অঘোষিত’ বনধ সরকারকে তীব্র আক্রমন

রাজনৈতিক বনধ অসফল করার চেষ্টা হলেও ২১ শে জুলাইয়ের ‘অঘোষিত’ বনধ সরকারকে তীব্র আক্রমন

ইসলামপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে রাজ্য-বিজেপি। আর স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য বনধের মতোই এই বনধকেও অসফল করতে প্রশাসনের পাশাপাশি রাস্তায় নেমেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই প্রচেষ্টাকে তীব্র আক্রমন করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের অন্যতম শীর্ষনেতা সুবীর সাহা। তিনি এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পালন করা ২১ শে জুলাইয়ের ‘অঘোষিত বনধকে’ সামনে রেখে আক্রমন হানেন।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ মামলা নিয়ে তীব্র আইনি লড়াই করা অন্যতম কনফেডারেশন শীর্ষনেতা সুবীর সাহা নিজের বিবৃতিতে জানান, বর্তমান সরকার দলমত নির্বিশেষে যে কোনও রাজনৈতিক দলই বনধ ডেকেছে তার সার্বিকভাবে বিরোধিতা করেছে এবং সেই বনধকে অসফল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যখন ২১ শে জুলাই অফিসে অলিখিত বনধের চেহারা নেয়, ওই দিন রাস্তা ঘাটে যানবাহন থাকে না তখন সরকারের আগাম কোনো প্রচেষ্টা থাকে না সরকারি অফিস গুলোকে সচল রাখার।

সুবীরবাবু আরো বলেন, বিভিন্ন অফিস কর্তৃপক্ষ এবং একটি সরকারী কর্মচারী সংগঠন বনধের দিন কর্মচারীদের নিশ্চিত উপস্থিতির জন্যে রাত্রে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় – ইলেকশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কর্মচারীদের বাড়ি ফেরার জন্য যথাযথভাবে গাড়ির ব্যবস্থা থাকে না। যাঁরা সেই দিন বাড়ি ফিরতে পারেন না তাঁদের সেই রাত্রে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থাও থাকে না তখন সরকারের পক্ষ থেকে। সবথেকে বড় কথা, ওই সংগঠনের কোনো উদ্যোগও তখন দেখা যায় না। এমনকি, ওই সংগঠনের ডিএ, পে-কমিশন সহ কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে কোনও উদ্যোগ দেখা যায় না – কিন্তু বনধ এলেই নিজেরদের পদ বাঁচাবার জন্যে এদের উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো!

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপরে সুবীরবাবু ক্ষোভের সঙ্গে জানান, গত পঞ্চায়েত ভোটে স্কুল শিক্ষক (ভোটকর্মী) রাজকুমারবাবুর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ পাওয়া যায় না, কিন্তু উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষকদের তাঁদের চাকুরীতে যোগদান করানোর জন্য ১৫০ জনের বিশাল বাহিনী নিয়ে পুলিশ স্কুলে উপস্থিত হয়ে যায়! ভোটের বিভিন্ন কাজ চলাকালীন সরকারি কর্মচারীদের সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের বা ইউনিয়নের বনধ হলেই কর্মচারীদের নিরাপত্তা দিয়ে অফিসে উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অতি উদ্যোগ দেখা যায়!

যদিও এই বনধের সঙ্গে সুবীরবাবুদের সংগঠনের কোনো প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই, তবুও তিনি জানান, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের এই পক্ষপাত মূলক উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাই, ধিক্কার জানাই I আমরা আশাবাদী রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক সমাজ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিবাদের মাধ্যমে এর যোগ্য উত্তর দেবেই। প্রসঙ্গত, এই বনধ ঘিরে রাজ্য সরকার নজিরবিহীনভাবে বনধের আগের ও পরের দিন সহ তিনদিনের জন্য, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!