এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ডালু-মৌসমের সাথে মতানৈক্য চরমে প্রদেশ কংগ্রেসের, ফায়দা তুলতে প্রস্তুত তৃনমূলও

ডালু-মৌসমের সাথে মতানৈক্য চরমে প্রদেশ কংগ্রেসের, ফায়দা তুলতে প্রস্তুত তৃনমূলও


এ যেন প্রদেশ কংগ্রেসে বর্তমানে শনির দশা চলছে। একদা ঘোর তৃনমূল বিরোধী তথা মালদার বরকত পরিবারের কংগ্রেস সাংসদদের মুখেই এখন শোনা যাচ্ছে তৃনমূল-বন্দনা। কিন্তু কেন? হঠাৎ কি এমন হল? রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, মালদার দুটি আসনেই এবার দুই কংগ্রেস সাংসদ বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে চলেছেন – একদিকে তৃণমূলের বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে উল্কার গতিতে বিজেপির উত্থান তাঁদেরকে যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছে। এই অবস্থায় তাঁরা সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিলে বা তৃণমূলের সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে লড়লে কিন্তু তাঁদের আরেকবার দিল্লি যাওয়ার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে যাবে। আর তাই সূত্রের খবর, সম্প্রতি কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করেন মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। সেখানেই তিনি তাঁকে রাজ্যে তৃনমূলের সাথে জোট করতে আবেদন জানান। আর ডালুবাবুর এই কথাতেই দ্বিধাবিভক্ত প্রদেশ কংগ্রেস। তবে শুধু আবু হাসেম খান চৌধুরী নন, এ ব্যাপারে একমত গনি পরিবারের আরেক সদস্য তথা সেই মালদারই কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুরও। তবে কি তাঁরাও শাসকদল তৃনমূলে যোগদান করছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁদের দুজনেরই বক্তব্য, আমরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দিতে চাই না। কিন্তু জাতীয় স্তরে বিজেপিকে সরাতে মমতাকে প্রয়োজন কংগ্রেসের।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর ডালু-মৌসমের এই কথাতেই চরমভাবে ক্ষিপ্ত প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে তৃনমূলের সাথে সমঝোতা করলে মূল বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি ফায়দা লুটবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে জোট করে তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব হ্রাস করতে দিতে চান না। সূত্রের খবর, তৃনমূলের সাথে জোট না করার আবেদন জানিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যের প্রবীন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। এদিকে আজই রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লীতে যাচ্ছেন প্রদেশ নেতারা। সেখানেও হাইকমান্ডের কাছে তাঁরা একই আবেদন জানাবেন বলে খবর। তবে ডালু-মৌসমের সাথে প্রদেশ কংগ্রেসের এই মতভেদের জেরে নিজেদের রাজনৈতিক জমির গভীরতা মাপতে পথে নেমে পড়েছে তৃনমূলও। সব মিলিয়ে তৃনমূলের সাথে জোট চেয়ে গনি পরিবারের দুই সাংসদের দাবি মানা না হলে তাঁরা কি হাত ছেড়ে ঘাসফুলের দিকে পা বাড়াবেন? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের তরুণ তুর্কি শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু বলেই রেখেছেন, মালদায় কংগ্রেস বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না, কংগ্রেসের বহু শীর্ষ নেতাই কিন্তু তৃণমূলের উন্নয়নের নৌকায় ওঠার জন্য মুখিয়ে আছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!