এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > গনিখানের রাজনীতির মূল কেন্দ্র মিশিয়ে দেওয়া হল মাটিতে! স্মৃতি আঁকড়ে চোখে জল বহু হেভিওয়েটের

গনিখানের রাজনীতির মূল কেন্দ্র মিশিয়ে দেওয়া হল মাটিতে! স্মৃতি আঁকড়ে চোখে জল বহু হেভিওয়েটের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মালদহ জেলা কংগ্রেসের অন্যতম আবেগের মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন গনিখান চৌধুরী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ভিড়ে ঠাসা থাকত জেলা কংগ্রেসের এক সময়কার কার্যালয় রাজেন্দ্র ভবন। পরবর্তীতে গনিখান প্রয়াত হলেও, তার সেই কার্যালয় অনেকের আবেগের সাথে মিশেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের এই ঐতিহ্যমন্ডিত দলীয় কার্যালয়টি এবার মাটিতে মিশে যাওয়ায় অনেকেই হতাশ এবং আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সোমেন মিত্র থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রত্যেকেই এক সময় এই রাজেন্দ্র ভবনে পা রেখেছিলেন। কিন্তু এবার তা ভেঙে বহুতল নির্মাণ হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। বর্তমানে মালদহ জেলা রাজনীতিতে যারা প্রতিষ্ঠাতারা একসময় গনিখান চৌধুরীর হাত ধরে এই কার্যালয় থেকেই উঠে এসেছিলেন। ফলে তাদের মধ্যেও তীব্র আবেগ কাজ করছে। গনি সাহেব চলে গেলেও, তার স্মৃতিবিজড়িত এই কেন্দ্র কোনোমতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত ছিল না বলে মনে করছেন সকলে। মালদহ জেলার সঙ্গে এই রাজেন্দ্র ভবনের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূল থেকে কংগ্রেস প্রত্যেকের মুখ থেকেই আবেগের কথা শোনা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের বর্তমান কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, “আমরা ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করি না। তাই হয়ত রাজেন্দ্র ভবন আমাদের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। অনেক স্মৃতি বহন করে এই ঐতিহ্যশালী জেলা কার্যালয়। এখনও এখান থেকেই দলের কাজকর্ম পরিচালিত হয়।” একইভাবে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, “এই রাজেন্দ্র ভবন থেকেই আমাদের রাজনৈতিক উত্তরন হয়েছে। এই ভবনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র চোখের সামনে যাওয়া স্মৃতি আমরা হারাতে চাই না।” একইভাবে এই ব্যাপারে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “কংগ্রেসের উচিত ছিল এই ভবন রক্ষা করা। আমি সভাপতি থাকাকালীন শত প্রলোভনেও রাজেন্দ্র ভবন ছাড়িনি‌।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “অনেক স্মৃতি এই ভবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমাদের অনেকের রাজনৈতিক উত্থান এই ভবন থেকেই। এখন শুনছি ওখানে বহুতল হবে।” অর্থাৎ মালদা জেলা রাজনীতিতে স্মৃতিবিজড়িত রাজেন্দ্র ভবন এখন মাটিতে মিশে যাওয়ায় প্রবল আবেগ গ্রাস করছে জেলার প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের মধ্যে। এখন শেষ পর্যন্ত এই আবেগের জয় হয় নাকি বহুতলের, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!