এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মমতার দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কি রাহুল গান্ধীর উল্টোপথে অধীর চৌধুরী? বাড়ছে জল্পনা

মমতার দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কি রাহুল গান্ধীর উল্টোপথে অধীর চৌধুরী? বাড়ছে জল্পনা


তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধায় বরাবরই আপত্তি ছিল তাঁর। এ নিয়ে দলে কম ঝঞ্ঝা পোহাতে হচ্ছে না তাঁকে। কথা হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই-ও চলেছে এ নিয়ে বেশ কিছুদিন। তার জেরে প্রকাশ্যেও এসেছে দলীয় কোন্দল। কেউ সিপিএম-এর সঙ্গে জোট বাঁধায় মত দিয়েছে, তো কেউ তৃণমূলের পক্ষে কথা বলেছে। তবে অধীরবাবু বরাবরই কট্টর তৃণমূল বিরোধী।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রবিরোধী মহাজোট গঠন করতে কংগ্রেসকে পাশে চেয়েছেন। নেত্রীর এই আহ্বানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আপত্তি জানালেও সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর সিদ্ধান্ত নিলেন জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীকে। এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিজেপি জোট গঠনের প্রস্তাবে কংগ্রেসের সম্মতির কথাই জানিয়ে দিলেন তিনি। এতে একরকম অস্বস্তিতেই পড়ল প্রদেশ কংগ্রেস।
তবে অস্বস্তির প্রসঙ্গ একরকম অস্বীকার করেই অধীরবাবু জানান কংগ্রেস হাইকমান্ডারের সিদ্ধান্তে বিন্দুমাত্রও বিচলিত নন তিনি। রাহুল গান্ধী যা বলবেন সে পথেই হাঁটবে কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে খানিক অন্য সুরে নিজের মতামতও পেশ করেন তিনি। জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো একাই ৪২টি আসনে লড়বেন বলেছেন এ রাজ্যে। তাই কংগ্রেসেরও এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করা উচিত বলেই মনে করছেন অধীর। জোর গলায় বলতে চান, তৃণমূল বা

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সিপিএম কার সঙ্গে জোটবদ্ধ হল সেসব তাঁর ভাবনার বিষয় নয়। তিনি যে নিজস্ব চেষ্টায় মানুষের ভালোবাসা আর আশির্বাদে কংগ্রেসের এতোদিন লড়ে এসেছেন এবারেও সেভাবেই লড়বেন। সমঝোতা বা বোঝাপড়া যাই হোক না কেন, কংগ্রেসকে কারও দয়ায় বাঁচবে না বলেই জানালেন তিনি। অর্থাৎ জাতীয় কংগ্রেস সেনাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরলেও প্রদেশ কংগ্রেসের এতে সায় নেই। যেহেতু সিডব্লুসি-র বৈঠকের সিদ্ধান্ত কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা প্রদেশ নেতৃত্বের অমান্য করার সুযোগ নেই তাই ওই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেস মানতে বাধ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর অঙ্গুলিহেলনেই যদি কংগ্রেসের কাজ চলে তাহলে বুঝে নিতে হবে তৃণমূল হাতপার্টির থেকে বেশি শক্তিশালী। লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের জন্য কংগ্রেসের আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ থেকেই যাচ্ছে। এর পাশাপাশি রয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র থেকে মোদী-উৎখাতের মতো জাতীয় লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত,এদিনই রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে হয়ে গেল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি, বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী এবং ওয়ার্কিং কমিটির পুরানো সদস্যদেও ডাকা হয়েছিলো সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিং-এ। সেই মতো বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। এই বৈঠকেই পুরানো কমিটি ভেঙে ৫১ জনকে নিয়ে রাহুল গান্ধী তৈরি করলেন নতুন সিডাব্লুডি। আর এই বৈঠকেই কংগ্রেসের হাইকমান্ডার জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সঙ্গে জোট বেঁধে লোকসভার লড়াই-এ নামার সিদ্ধান্তের কথা। উল্লেখ্য, পি চিদম্বরমও বলেই রেখেছেন যেসব রাজ্যে কংগ্রেস সাংগঠনিক দিক থেকে দূর্বল সেসব রাজ্যে অন্যান্য আঞ্চলিক বা জাতীয় দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট যুদ্ধে নামলেই বাজিমাৎ করার সম্ভাবনা বেশি। এই বক্তব্যেকেই কার্যত খাতায় কলমে সিলমোহর দিয়ে দিল সিডব্লুসি। সব মিলিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল সামঝোতা নিয়ে বেশ সরগরম হয়ে আছে রাজ্যরাজনৈতিকমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!