কংগ্রেসের তিন রাজ্যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কর্ণাটকের মতো হয়েও হচ্ছে না,থিতিয়ে পড়ছে কি বিরোধী মহাজোট জাতীয় রাজ্য December 17, 2018 কংগ্রেসের তিন রাজ্যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কর্ণাটকের মতো হয়েও হচ্ছে না, থিতিয়ে পড়ছে কি বিরোধী মহাজোট, জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিকমহলে। কয়েকমাস আগেই কর্নাটকে বিধানসভা ভোট হয়। পরাজিত হয় বিজেপি। বেশি আসন পেলেও কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি সেই সময়। আর যাতে কর্নাটকে সরকার গঠন করে কংগ্রেস তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সেই সময় জিডিএস সুপ্রিয় কে ফোন করে ,সোনা গান্ধীকে ফোন করে জোটে করে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জোট সরকার গঠন হবে পর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিলো সমস্ত বিরোধী শক্তিকে এক ছাদের তলায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ এ বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটাতে সেই মঞ্চ থেকেই মহাজোটের ডাক দিয়েছিলেন বিরোধীরা। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। তিন রাজ্যে সম্প্রতি বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করেছে কংগ্রেস। কিন্তু এখানে আর মায়াবতীর সাথে জোট করার প্রস্তাব দিতে দেখা যায়নি মমতা ব্যানার্জীকে। শুধু তাই নোই মায়াবতী কংগ্রেসকে সমর্থন করলেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কিন্তু তিনি উপস্থিত থাকছেন না। কেন? তা জানা যায়নি। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে আসন কম হওয়ায় গত সপ্তাহে দুই রাজ্যে সমস্যায় পড়েছিল কংগ্রেস। কানাঘুসো শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতা কমলনাথ মায়াবতীর সঙ্গে কথা বলেন। যদিও তিন রাজ্য আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের ওপর প্রবল ক্ষুব্ধ মায়াবতী। কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট পূর্ববর্তী জোট গঠনেও অস্বীকার করেছিলেন তিনি। শুধু তিনিই নন। পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও পারিবারিক কারণে উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এবং তাঁর দলের তরফে সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। তবে বাকি জায়গায় কেন কেউ যাচ্ছে না তৃণমূলের তরফ থেকে তা জানা যায়নি। শুধু এনারাই নন জানা যাচ্ছে, উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী নেতা অখিলেশ যাদব। কেন কারণ জানা যায়নি। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বিজেপি তো এর মধ্যেই সুর তুলে দিয়েছে যে, রাহুল গান্ধী জয় পেয়েছেন তা সহ্য হচ্ছে না তৃণমূল নেত্রীর। কেননা তিনি ভেবেছিলেন যে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন জোটের মুখ হিসাবে।কিন্তু তাঁর অস্তিত্ব বাংলা ছাড়া আর কোথাও নেই , আর কংগ্রেস জাতীয় দল তার বিচরণ সর্বত্র।২০১৯ এ মূল লড়াই হবে কংগ্রেস বিজেপিতে আর যদি জোট হয় তবে অন্যদল গুলো কেন শুধু শুধু তৃণমূলকে সামর্থঙ্করে জোট বাধবে। জোট বাধলে কংগ্রেসের সাথেই জোট হবে। ফলে তৃণমূল নেত্রী ভয় পাচ্ছেন। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে যদিও বিজেপি তাতেও সন্ধিহান যে বিজেপি বিরোধী জোট আদেও হবে কিনা? কেননা মায়াবতী এদিন কংগ্রেসকে আমারথান করলেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসছেন না। ফলে সব মিলিয়ে বিজেপি বেশ ফুরফুরে মেজাজেই। অন্যদিকে, চন্দ্রবাবু নাইডু, ফারুক আবদুল্লা, শারদ পাওয়ার, স্ট্যালিনকে সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখতে পাওয়া যাবে বলে অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল। স্ট্যালিন আবার রাহুকলেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন। কংগ্রেসের তরফে আম আদমি পার্টির কেজরিওয়ালকেও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ফলে রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন যে থিতিয়ে পড়ছে না তো বিজেপি বিরোধী মহাজোট। আপনার মতামত জানান -