এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ফের একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে থানা ঘেরাও কংগ্রেসের

ফের একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে থানা ঘেরাও কংগ্রেসের


রাহুল চক্রবর্তী, পুরুলিয়া :- পুরুলিয়া জেলাতে পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তীকালে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। তৃণমূল-বিজেপি জনসংযোগ বাড়াতে নিয়েছে একটার পর একটা কর্মসূচি। এমন পরিস্থিতিতে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি নন জেলার কংগ্রেস নেতৃত্ব। সাধারণ মানুষের দাবি অর্থাৎ খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক বিষয়ে তুলে নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটার পর একটা আন্দোলন করে চলেছে।এত তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলার দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ বিধায়ক নেপাল মাহাতো সহ জেলার অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

নিয়েছেন একটার পর একটা থানা ঘেরাও কর্মসূচি। ঝালদা, কোটশিলা থানা ঘেরাও এর পর এইদিন বাগমুন্ডি থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছিল কংগ্রেস। সেখানে প্রায় দশ হাজারের মতো সাধারণ মানুষ ও কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক অংশ নিয়েছিল বলে দাবি জেলা কংগ্রেসের। জেলার ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এবং জেলার সাধারণ মানুষের দাবিগুলোকে সুকৌশলে তুলে ধরে এলাকাভিত্তিক জনসংযোগ বাড়িয়ে চলেছেন নেপাল মাহাতো। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস একাধিকবার পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করে আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এদিন থানা ঘেরাও প্রসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন নেপালবাবু।

তিনি বলেন, পুলিশ ও প্রশাসন শুধুমাত্র নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলদাস সুলভ আচরণ করছে, সর্বত্র প্রাধান্য পাচ্ছে চাটুকারিতা।এছাড়া এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন  “পুলিশ অশোক স্তম্ভের মর্য়াদা সঠিকভাবে পালন করছেন কী আদেও” তিনি আরও দাবী তুলে জানান যে এছাড়া জেলাতে অগণতান্ত্রিকভাবে জুলুমবাজ এবং জবর দখলের রাজনীতি চলছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা উত্তম ব্যানার্জি জানান যে, গণতন্ত্র কিভাবে দিনের পর দিন প্রদর্শিত হচ্ছে তা দেখছে সাধারন মানুষ। এক দল থেকে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোট জিতে আসা প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে প্রলোভন দিয়ে দলে ঢোকানো হচ্ছে।তারা কয়েকটা জনপ্রতিনিধি নিজের দলে শামিল করলেও সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবে। এই নতুন রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক একদিন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে।

নেপাল মাহাতো  সারা জেলাজুড়ে যে অবৈধ বালি ব্যবসা চলছে, তার বিরুদ্ধে বলেন এসব বন্ধ না হলে শুধুমাত্র থানা ঘেরাও নয়, ভূমি দফতরেও জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে মানুষকে পাশে নিয়ে আন্দোলন করবেন তিনি । কারণ এই অবৈধ বালি পাচারের জন্য সারা জেলায় জল স্তর নেমে যাচ্ছে ভবিষ্যতের এর জন্য দেখা দিতে পারে প্রবল পানীয় জলের সমস্যা। তবে শাসকদল এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!