এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেস বিধায়করা তৃণমূলের শীর্ষপদে! মমতার দলের নৈতিকতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল বাংলায়!

কংগ্রেস বিধায়করা তৃণমূলের শীর্ষপদে! মমতার দলের নৈতিকতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল বাংলায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে দেখা গেছে দলবদলের হিড়িক। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন বিরোধী দল থেকে যেরকম ভাবে শাসক দলে পদার্পণ করেছে অনেকেই, ঠিক সেভাবেই শাসক দল থেকে ও বিরোধীদলে গেছে অনেকে। তবে বিরোধী দল থেকে শাসক দলে এসেই সংগঠন বদলের সুযোগে দলের মধ্যে বিশিষ্ট আসন পেয়ে নেওয়ার ঘটনা অবশ্য অন্য কোথাও হয়নি। তবে এরকমই ঘটনা ঘটেছে এবার শাসকদল তৃণমূলে।

কিছুদিন আগেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে পা দিয়েছিলেন গৌতম দাস, অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং হাসানুজ্জামান। তৃণমূল শিবিরে যে ব্যাপক রদবদল হয়েছে বৃহস্পতিবার, তাতে এই তিনজন সাংগঠনিক বিশিষ্ট পদ পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখানেই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের লেগেছে সংঘাত। কারণ এই তিন তৃণমূল নেতা এখনো পর্যন্ত খাতায়-কলমে কংগ্রেসের বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন। আর তাই নিয়ে এখন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জোর বিতর্ক।

তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবশ্য এই বিতর্ককে ধামাচাপা দিতে দাবি করা হয়েছে, উক্ত তিন কংগ্রেস বিধায়ক বর্তমানে তৃণমূল শিবিরের সেনা হিসেবে নিযুক্ত। দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্যাপক রদবদল হয়েছে। তাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতির পদে এসেছেন কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাস। অন্যদিকে যুব তৃণমূলের নতুন রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন নদীয়ার অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং হাসানুজ্জামান। আর এই নিয়ে এবার কংগ্রেস পরিষদীয় দল থেকে আপত্তি তোলা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, শাসকদলের পদাধিকারী হিসাবে উক্ত তিনজনকে নিয়োগ করার আগে তাঁদের বিধায়ক পদ ছাড়তে বলা উচিত ছিল তৃণমূল দলীয় নেতৃত্বের। কিন্তু তা বলা হয়নি কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমত কটাক্ষ করে বলেছেন,‘‘এই ২১শে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে গণতন্ত্র, নীতিকথা, অধিকারের পাঠ পড়ালেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, তিনি যে গণতন্ত্রের পাঠশালায় পড়েছেন, সেখানে নৈতিক অবস্থানের কোনও স্থান নেই। কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে যাঁরা নির্বাচিত, তাঁদের আগে পদত্যাগ করানোর নৈতিক সাহস তিনি দেখাতে পারলেন না?’’ অন্যদিকে রাজ্যে পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী এবং তৃণমূলের নতুন সহ-সভাপতি তাপস রায় জানিয়েছেন, রাজ্যের উন্নয়ন দেখে ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা করার জন্য তৃণমূল এখন প্রথম সারিতে। আর সে জায়গায় উক্ত বিধায়করা স্বইচ্ছায় নিযুক্ত হয়েছেন তৃণমূলে। আপাতদৃষ্টিতে তৃণমূলের সংগঠনের ব্যাপক পরিবর্তন তৃণমূল শিবিরে খুশির হাওয়া বয়ে আনলেও ধীরে ধীরে সাংগঠনিক পরিবর্তন ঘিরে শুরু হচ্ছে বিতর্ক। শুরু হচ্ছে, দলীয় কোন্দল। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সাংগঠনিক পরিবর্তনের কারণে যদি এভাবে অশান্তি দানা বাঁধে, তাহলে এই পরিবর্তনের কোন মানেই হয়না। আপাতত কংগ্রেস – তৃণমূল যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তার রেশ কতদূর গড়ায় সেদিকেই এখন নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!