এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে নতুন ‘অস্ত্রে’ শান দিয়ে ময়দানে নামতে চাইছে কংগ্রেস

বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে নতুন ‘অস্ত্রে’ শান দিয়ে ময়দানে নামতে চাইছে কংগ্রেস


2014 সালে ইউপিএ সরকারের পতনের পর থেকে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী কংগ্রেস দলকে পরবর্তীতে আর সেই অর্থে রাজনৈতিক মঞ্চে সঠিকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হননি। ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধী ইস্তফা দিয়েছেন। পুনরায় সভাপতি পদ গ্রহণ করেছেন সোনিয়া গান্ধী।

সভাপতি পদ গ্রহণ করেই সোনিয়া গান্ধী চেষ্টা শুরু করেছেন কংগ্রেসের সংগঠনকে জোরদার করার। আর কংগ্রেস দলকে আরও একবার রাজনৈতিক মঞ্চে আলোকিত করার। আর তাই তিনি বিজেপি বিরোধিতায় এবার তুলে আনতে চাইছেন নতুন এক ‘অস্ত্রকে’। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার কংগ্রেস সভানেত্রী বিজেপির সামনে দাঁড় করাচ্ছেন এক মহিলা মুখকে। সোনিয়া গান্ধীর অভিমত হল, বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য একজন প্রতিবাদী যুক্তিনিষ্ঠ মহিলা মুখের দরকার, যা এখনো পর্যন্ত বিজেপি দলে অমিল।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি দলের সাথে জোরদার লড়াই এর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার সোনিয়া গান্ধী দলের মুখপাত্র ঠিক করেছেন সুপ্রিয়া শ্রীনাথেকে। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দলের ভরাডুবির পর রাহুল গান্ধী যথারীতি তার দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন কেউই – কিন্তু, দলের এই কঠিন সময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ত্ব দেওয়ার বদলে, রাহুল গান্ধীর এই সরে দাঁড়ানো, মোটেই ভালোভাবে নিতে পারছেন না দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি, কংগ্রেসের অনেক প্রবীণ নেতার অনুরোধের পরেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন। কোন কিছুতেই তিনি আর থাকতে চাইছেন না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ বেশ কিছুদিন খালি থাকার পর বাধ্য হয়ে সোনিয়া গান্ধী পুনরায় তা অধিগ্রহণ করেন। আপাতদৃষ্টিতে মোদি বিরোধী কংগ্রেসের একটাই মুখ, সোনিয়া গান্ধী। ফলে, বিজেপিকে চেপে ধরতে কংগ্রেস নারীশক্তির উপর জোর দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নিতে চলেছে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আর তাই, এবার এআইসিসির মুখপাত্র করা হল সুপ্রিয়া শ্রীনাথেকে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কে এই সুপ্রিয়া শ্রীনাথ? প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রনদীপ সূরজেওয়ালার বিবৃতির মাধ্যমে জানা গেছে, সুপ্রিয়া শ্রীনাথে হলেন, মহারাজগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রার্থী। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী পঙ্কজ চৌধুরীকে পরাজিত করেন সুপ্রিয়া শ্রীনাথে। প্রবল মোদী ঝড়ের মধ্যেও এরকম একটি ঘটনা সুপ্রিয়া শ্রীনাথেকে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

এছাড়াও, সুপ্রিয়া শ্রীনাথে একসময় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ছিলেন। তাঁর আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ হর্ষ বর্ধনের সুযোগ্যা কন্যা। আপাতত সুপ্রিয়া শ্রীনাথেকে মুখপাত্র রেখেই কংগ্রেস দল আগামীর লড়াই শুরু করছে – দল তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে। সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়ে সাংগঠনিক স্তরে নিয়ে আসতে চলেছেন পরিবর্তনের ঝড়। তবে এই ঝড় বিজেপির বিরুদ্ধে কতটা কাজ করবে, সে কথা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কারণ মোদি ঝড়ের মাহাত্ম্য এখনো অব্যাহত। 2014 সাল থেকে যে ঝড় শুরু হয়েছে 2019 সালে এসে সে ঝড় আরো শক্তি বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু, সামনেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র বা ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। এর পাশাপাশিই গোটা দেশ জুড়ে ৭০-এর কাছাকাছি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনও হবে। সেখানে ভালো ফল করলেই – আগামীদিনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছাতে পারবে কংগ্রেস। আর তাই, নারীশক্তির নতুন মুখের উপরেই ভরসা করতে চলেছে কংগ্রেস শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!