এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পিসি-ভাইপোর জোটে নিজেদের জায়গা পাকা করতে এবার চূড়ান্ত হুমকি কংগ্রেসের

পিসি-ভাইপোর জোটে নিজেদের জায়গা পাকা করতে এবার চূড়ান্ত হুমকি কংগ্রেসের

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মধ্যে তিন রাজ্যেই বিজেপিকে ধরাশায়ী করে বিপুল আত্মবিশ্বাস পেয়েছে কংগ্রেস। এই আত্মবিশ্বাস যে রাহুল গান্ধীকে লোকসভা ভোট জয়ের লক্ষ্যে আরো এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে এসপি-বিএসপির জোট ঘোষণার যে আঁচ পাওয়া গিয়েছে একটু হলেও কংগ্রেসের সেই মনোবলে আঘাত হেনেছে। এমনটাই অভিমত রাজনৈতিকমহলের।

আর অভিজ্ঞমহলের জল্পনাকে সত্যি করেই এবার এসপি-বিএসপি-র জোট ঘোষণার আগেই একপ্রকার হুমকি দিয়ে দিল কংগ্রেস। দলের সদর দপ্তরে বসেই কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি একরকম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন,”আমাদের ছোট করে দেখলে তা ভয়ঙ্কর হবে।

মায়াবতী, অখিলেশের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে দুটি দল জোট করছে, করুক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের ছোট, গুরুত্বহীন করে দেখা হবে।” এরপর সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাফ জানিয়ে দেন,কংগ্রেসকে ছোট করে দেখলে আসলে পরিনতি ভয়ংকর হবে। একটি রাজনৈতিক বিপর্যয় হবে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য,সম্প্রতি দুবাইতে একটি সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধী দাবী করেছিলেন,আগামী লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রসের নজরকাড়া সাফল্য পাবে। আসলে এসপি-বিএসপি জোট থেকে কংগ্রেসকে বাদ দেওয়ার যে আগাম ধারণা পাওয়া গিয়েছে তা একটু হলেও সংগঠনের মাটিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে সেটা ঢাকতেই এরকম হুমকি দিল কংগ্রেস,এমনটাই দাবী বিশ্লেষকদের।

তবে কংগ্রেস হুমকি দিলেও এখনো পর্যন্ত জোট নিয়ে নিজেদের মতামতা পাকাপাকিভাবে ঘোষণা করেননি অখিলেশ-মায়াবতী। এদিন লখনউয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেই জোটের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে পিসি-ভাইপোর জুটি।

শোনা যাচ্ছে,এই জোটে আসতে চলছে অজিত সিংয়ের আরএলডিও। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের এনডিএয়ের শরিক আপনা দলের সঙ্গে বিজেপির মনোমালিন্যের আঁচ পেয়ে এই দলকে জোটে টানার অভিপ্রায়ে আপনা দলের জন্য দুটি আসন ছেড়ে রাখা হবে বলেও খবর রয়েছে। অভিজ্ঞমহলের দাবী,কংগ্রেসকে চাপে রাখার পাশাপাশি নিজের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার সম্ভাবনাকে তুলে ধরার বার্তা দিতেই রাহুল-বাহিনীকে জোট থেকে বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছেন মায়াবতী।

১৯’এর লোকসভা নির্বাচন প্রস্তুতির প্রথম পর্বে কিন্তু ঠিক ছিল,বিরোধীরা একজোট হয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নামবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিল্লিতে দু’দফার বড় বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ,ছত্তিগড় বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা বাতিল করে একলা চলার নীতি নিয়েছিলেন মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধীর উদ্যোগে আয়োজিত জোট বৈঠকেও সপা,বসপার কোনো প্রতিনিধির টিকিটিও দেখা যায়নি। তবে এরপরেও বিধানসভা ভোট পর্বে সমস্ত মনকষাকষিকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়েই উত্তরপ্রদেশে লড়তে চেয়েছিল অখিলেশ-মায়াবতী। কংগ্রেসকেও জোটে টেনেছিল।

তবে কংগ্রেসের জন্য মাত্র দুটো আসন (আমেথি এবং রায়বেরিলি) রাখায় তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন রাহুল গান্ধী। তারপর উত্তরপ্রদেশের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করে এই রাজ্যে একা লড়ারই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে কংগ্রেস। এবং এটাও দাবী করে বসে,লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ভালো পারফরমেন্স করবে কংগ্রেস। কৃষিঋণ মকুব হওয়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে,এমনটাই আশা জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমোর।

তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে এসপি-বিএসপি জোট গড়লেও কংগ্রেসের তাতে কিছু এসে যায় না। পরিনামে ভয়ংকর প্রভাব পড়বে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। এমনটাই হুঁসিয়ারী বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। অভিজ্ঞমহলের মতে, এ ব্যাপারে ২০০৯-এর লোকসভা ভোটের ফলাফলকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস।

রাজনৈতিক সূত্রের খবর,উত্তরপ্রদেশের ৮০ টি আসনের মধ্যে সেসময় কংগ্রেস ২১ টি আসন জিতেছিল। জোটসঙ্গী অজিত সিংয়ের আরএলডি পেয়েছিল ৫ টি আসন। অন্যদিকে,বিজেপি,এসপি ও বিএসপি যথাক্রমে পেয়েছিল ১০,২৩ এবং ২০ টি আসন।

যদিও সেসময় কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। আর এখন রয়েছে বিজেপি। তাই কংগ্রেসের পুরানো ফলাফলের হিসাবের নিরিখে রাহুল গান্ধী যে আগাম যুদ্ধজয়ের দাবীটি করলেন তা আদৌ সত্যি হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!