এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেসের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে, ফের একহাত অধীরকে !

কংগ্রেসের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে, ফের একহাত অধীরকে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভোটের আগে একে একে বিভিন্ন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে আসছে। তৃণমূল বিজেপির পর এবার সেখানে উঠে এসেছে কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা। কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের হার নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল কপিল সিব্বলকে। আর সেই নিয়েই এবার সরব হতে দেখা গেল অধীর চৌধুরী, সলমন খুরশিদ, পি চিদম্বরমকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সর্বভারতীয় এক পত্রিকার সাক্ষাত্‍কারে সিব্বল বলেন,”দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। যাঁরা অভিজ্ঞ, রাজনীতি বোঝেন, তাঁরা এই কাজ করবেন। এখন আর ভাবার সময় নেই।” তিনি আরো বলেন, “অবিলম্বে কয়েকটি স্তরে কিছু কিছু কাজ করতে হবে। সাংগঠনিক কাজ করতে হবে। আরও নানা স্তরে কাজ করতে হবে। আমাদের চাই সক্রিয় ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব। সবদিক ভেবে কাজে হাত দিতে হবে।”

সেইসঙ্গে তিনি জানান, “কংগ্রেস কর্মীদের বুঝতে হবে, আমাদের দলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম, মানুষ আমাদের ওপরে সেভাবে আস্থা রাখছেন না। আমাদের এখন সবকিছু ভেবে দেখার সময় এসেছে। আমরা জানি কী করতে হবে।” কংগ্রেসের এই সত্যটি মেনে নেওয়া উচিত বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, এই বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে আলোচনার কোনও জায়গা নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই তিনি প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন। তবে তাঁর এই কথাকে যে দল সহজ ভেবে নেয়নি, সেকথাও বোঝা গেছে বিশেষ করে অধীর চৌধুরীর কথায়। এদিন বুধবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন, যে নেতারা এখন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাঁরা বিহারে ভোটের সময় কোথায় ছিলেন। তাঁর মতে, ওই নেতারা যদি সত্যিই কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে চাইতেন, তাহলে কাজে সেকথা প্রমাণ করতেন বলেই মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে, এই কথার জবাবে কপিল ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। তাঁদের মতে, অধীরবাবু ও অন্যান্য নেতাদের হয়তো জি ২৩ নেতারা যে বিহারে নির্বাচনের প্রচারের তালিকায় ছিলেন না, সেকথা জানা নেই। তাই দল না বললে তো তাঁরা প্রচারে যেতে পারতেন না, সেটাই স্বাভাবিক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জি ২৩ নেতা বলতে, যে ২৩ জন নেতা দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থা নিয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁদের বোঝানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আর সেই দলেই নাকি কপিল সিব্বলও ছিলেন। অন্যদিকে, অধীরবাবু জানান, কোনো নেতা যদি ভাবেন কংগ্রেস তাঁর উপযুক্ত দল নয়, তবে তিনি নিজে নতুন পার্টি গড়তে পারেন। অথবা যে পার্টিকে তিনি প্রগতিশীল ভাবেন, যেখানে গেলে তাঁর স্বার্থরক্ষা হবে মনে করেন, সেখানে যোগ দিতে পারেন বলেই মনে করেছেন তিনি। কিন্তু তারা এভাবে দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেছে তাঁকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!