এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জিতেও চিন্তা যাচ্ছে না কংগ্রেসের, ২০১৯ এ কি এই ফ্যাক্টর গুলো বিপদে ফেলতে পারে উঠছে প্রশ্ন

জিতেও চিন্তা যাচ্ছে না কংগ্রেসের, ২০১৯ এ কি এই ফ্যাক্টর গুলো বিপদে ফেলতে পারে উঠছে প্রশ্ন

পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের উপর দাঁড়িয়ে ছিল ১৯ ‘এর লোকসভা ভোটের জন্য রণকৌশলের পরিকল্পনা, এমনটাই বহুবার বক্তব্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। লোকসভা ভোটে লড়াই করার জন্যে বিজেপি বনাম বিরোধীজোটের নতুন করে ঘুঁটি সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হল এখন থেকেই। অপ্রত্যাশিত ভাবে পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে তিনটেই হার হল বিজেপির।

বিশেষ করে ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে জয় নিয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত এই দুটি রাজ্যের মাটিতে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে খুশির জোয়ারে ভাসলেন রাহুল গান্ধী। রাজস্থানে শচীন পাইলট তেন্ডুলকরের মতো ব্যাটিং করেছেন যেমন, তেমনি ছত্তিশগড়েও বাজিমাত করেছে কংগ্রেস। তবে আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্যে চিন্তা কমেনি কংগ্রেসের। সমীকরণে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য যা রীতিমতো বৃহত্তর সাফল্যের পরও অস্বস্তিতে ফেলেছে কংগ্রেসকে। আসুন দেখে নেওয়া যাক।

মধ্যপ্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নিলেও তেমন খুশি হতে পারেনি কংগ্রেস সুপ্রিমো। পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধি, নোটবন্দি, রাফাল দুর্নীতি, রাম মন্দির নির্মান ইত্যাদি ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি বিরোধীতায় শোরগোল ফেলে দিলেও আশানুরূপ ফারাকে বিজেপিকে হারাতে পারেননি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কমল নাথরা। কারণ বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিজেপি শাসিত হওয়া পর মানুষ এবার বিপল্প সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাইছে।

তাই কংগ্রেস বিজেপির জায়গায় উঠে এসেছে। তবে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস এখনো শক্তিতে বিজেপির সমান সমান হয়ে উঠতে পারেনি, এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল। তাছাড়া হিন্দুত্ববাদে উস্কানি দিয়েও বিজেপিকে টেক্কা দিতে চেয়েছিল কংগ্রেস। সেজন্যেই ইস্তেহারে রামপথ, গোশালার মতো প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান সামান্যই।

শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, রাজস্থানেও সামান্য ফারাকে জিতেছে কংগ্রেস। নরম হিন্দুত্বের তাস খেলায় পাকা খিলাড়ি হয়ে উঠতে পারেননি রাহুল গান্ধী। তাই লোকসভা ভোটে এই কৌশল ফের করতে গেলে আরো একবার অনুশীলন করেই মাঠে নামা উচিৎ, এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাছাড়া কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। বিধানসভা ভোটের আগেই বহুবার দলীয় আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে কংগ্রেসের। একথা অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেস সমর্থকরাও স্বীকার করে নিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের আপাত ঐক্যের ছবি দেখা গেলেও বাস্তবে কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিং এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াদের মধ্যে মনমালিন্য থাকার কারণে জয়ের ফারাক কমেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজস্থানেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। তাই কংগ্রেস বিজিত রাজ্যগুলোতে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে কারা আসবেন তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে, তেলেঙ্গনা নির্বাচন অন্য ছবিকে প্রকাশ্যে এনেছে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যতে বিজেপির সংগঠন মজবুত ছিল না। এখানে লড়াই ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বনাম আঞ্চলিক হেভিওয়েট টিআরএসের মধ্যে।

ফলাফলে টিডিপি এবং কংগ্রেস জোট মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিজেপি এগিয়ে এখানে। এই মাধ্যমে বোঝা গেল জয়ের চাবিকাঠি শুধুমাত্র মহাজোটের হাতে নেই। নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে জোট গড়লে তবেই সাফল্য আসবে, এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

উল্লেখ্য, একসময় উত্তর-পূর্ব ভারতে একচেটিয়া শাসন চলেছে কংগ্রেসের। কিন্তু ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচন থেকেই মোদী-ম্যাজিকের ছোঁয়ায় পাল্টাতে শুরু করে সব। একের পর এক রাজ্যে কোনঠাসা হয় কংগ্রেস। ভিত শক্ত হয় বিজেপির।

মিজোরামই ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের শেষ কংগ্রেস শাসিত রাজ্য। সেখান থেকেও গেরুয়া ঝড় সাফ করে দিল কংগ্রেসকে। তাই ১৯’এর লোকসভা ভোটে উত্তরপূর্ব ভারতে ফের মাটি শক্ত করতে গেলে বেশ বেগ পেতে হবে কংগ্রেসকে। এটাই চিন্তার কারণ হয়েছে জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!