এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অধীর চৌধুরীকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে জোট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সোনিয়াকে জানালেন রাজ্য নেতারা

অধীর চৌধুরীকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে জোট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সোনিয়াকে জানালেন রাজ্য নেতারা

রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা দল এবং দেশ তথা রাজ্যের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে দলের হাইকম্যান্ড তথা সোনিয়া গান্ধীর সাথে বৈঠক করলেন। বৈঠকের বিষয় ছিল – শুধু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন বলে নয় আগামী ১০ বছরের জন্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে পথ চলা উচিত। এইরকম একটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয়ে বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতার অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি, এই বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে না রাখার কারণ অবশ্যই তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করার ‘কারণকে সম্মান’ জানানো। সব দিক বিবেচনা করেই তাই কংগ্রেস দলের রাজ্য নেতৃত্বের প্রথম সারির নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে গিয়ে গোপণে বৈঠক করলেন।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অবশ্য রাজনৈতিক মহলের মতে রাজ্য কংগ্রেসের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তাঁরা মনে করেন কংগ্রেস দলের এই রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এই জোটের প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, দিল্লীর এই বৈঠকে রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মালদা দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীও। তিনি ছাড়াও এদিনের বৈঠকে ছিলেন ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক। বৈঠকে এদিন তাঁরা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বাংলায় বামেদের খুব সঙ্গীণ অবস্থা আর এমত অবস্থায় গেরুয়া শিবিরকে প্রতিহত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই। এদিনের বৈঠকের প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীকে না জানানোর প্রসঙ্গে তাঁদের অভিমত, এটা তো শুধুমাত্র প্রস্তাব। আমরা তো কেউ সিদ্ধান্ত নেব না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সোনিয়া-রাহুলই নেবেন। একদিকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে জল্পনা উঠেছে যেসব নেতাদের নাম নিয়ে তাঁদেরই এই বৈঠকে উপস্থিতি, অন্যদিকে স্বয়ং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেই অন্ধকারে রেখে এমন একটি গুরুত্ত্বপূর্ন বৈঠক করা নিয়ে অবশ্য কোনো ভুল দেখছেন না রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের মতে দলের যে কোনো নেতাই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকতে পারে বলে তারা মনে করেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!