এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দীর্ঘদিনের সৈনিককে সরিয়ে বড়সড় পদ দেওয়া হল কংগ্রেস থেকে আগত নেতাকে! গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরে

দীর্ঘদিনের সৈনিককে সরিয়ে বড়সড় পদ দেওয়া হল কংগ্রেস থেকে আগত নেতাকে! গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরে


অন্য দল থেকে এলে তাঁকে প্রাধান্য দিয়ে পদ দেওয়ার রীতি তৃণমূলের দীর্ঘদিনের , বলা ভালো এটা তৃণমূলের দল ভাঙানোর এক অন্যতম বড় অস্ত্র।
আগেও দেখা গেছে যে অন্যদিক থেকে আগত নেতাদের বড়সড় পদ দিয়ে ব্র্রণ করেছে তৃণমূল। এবারেও তার অন্যথা হলো না। জানা গেছে , প্রাক্তন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পণ্ডাকে সবং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হল।

প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অমলবাবু সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ছিলেন। মানসবাবুর সঙ্গে অমলবাবুও পঞ্চায়েত সমতির সভাপতি থাকার সময়েই তৃণমূলে যোগ দেন। অমলবাবু বর্তমানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সবং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির ঘনিষ্ঠ প্রভাত মাইতি। এদিন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বুধবার সাংবাদিকদের জানান যে, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নির্দেশে ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতির জায়গায় অমল পণ্ডাকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল। আর সাথে প্রভাতবাবুকে জেলার সহ সভাপতি করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

যদিও এই নিয়ে এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রভাতবাবু বলেন, এরকম কোনও খবর জানা নেই। সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমাকে কেউ জানাননি। সাথেই প্রতিক্রিয়া দেন অমূল্যবাবুও ও। তিনি বলেন যে, দল যেটা ভালো বুঝেছে, করেছে।

এদিন অমলবাবু বলেন, কংগ্রেসটা নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। যেদিন থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি, নিষ্ঠার সঙ্গেই দল করছি। দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা গুরুত্ব দিয়েই পালন করব। সবংয়ে সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে। বিজেপিও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের জয় অব্যাহত থাকবে।

কিন্তু দলের অন্দরে ফিসফাস চলছে যে ,এই নিয়ে নাকি ক্ষুব্ধ দলের একাংশ।মুখে না বললেও প্রভাতবাবুও চটেছেন। যদিও প্রভাবতবাবু এই নিয়ে এখনো কোনো কথা বলেননি। তবে গুঞ্জন যে তাঁর সমর্থকরা নাকি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন তাঁদের প্রিয় দাদাকে সরানো হলো। যদিও প্রকাশ্যে এখনিই কেউ কিছু বলেননি তবে আবহাওয়া থমথমে। যদিও তৃণমূলের দাবি এমন কিছু হয়নি। প্রভাতবাবু খুশি হয়েছেন দলের এই সিদ্ধান্তে। এখন দেখার কিভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রভাতবাবু আর অমলবাবু সবংয়ে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে চলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!