ফের হেভিওয়েট কংগ্রেস সাংসদের তৃণমূলে যোগ নিয়ে জল্পনা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য June 30, 2018 ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে কেন্দ্র থেকে পদ্ম উপড়ে ফেলতে দলে দলে বিরোধীদের জোট বাধার পরিকল্পনা তো আগেই হয়ে গেছিলো। তবে সম্প্রতি অবিজেপি দলের নেতৃত্বদের তৃণমূল শিবিরে যোগ দেওয়ার খবরে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্যরাজনীতির অন্দরমহল। বঙ্গের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার একটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এমনটাই দাবি একটি ওয়েব পোর্টালের। তাদের দাবি ,এদিন ভরদুপুরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর নাকতলার বাড়িতে ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়জ মইনুক হকের সঙ্গে হাজির হতে দেখা গেছে দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেন খান চৌধুরী ওরফে ডালুকে। বেশ কিছুক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার পর আবু হাসেমজি বেরিয়ে মিডিয়াকে জানালেন যে কেন্দ্রে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট বাধতে চলেছে। বঙ্গেও সেই জোট নিয়ে আলোচনা করার জন্যই তিনি পার্থ বাবুর বাড়িতে এসেছিলেন। তবে তিনি তৃণমূল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন কিনা এ প্রশ্ন করা হলে প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন যে তিনি এরকম কিছুই করছেন না। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। অন্যদিকে, ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক কিন্তু তৃণমূলের যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগেই মনস্থির করে ফেলেছেন। এমনকি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার আহ্বানও জানিয়েছেন। শুধু মইনুল হকই নন, মুর্শিদাবাদের আরো দুজন কংগ্রেস নেতা এবং মালদহের দুজন কংগ্রেস বিধায়ক নাকি তৃণমূলশিবিরে আসতে চেয়ে মহাসচিব পার্থবাবুকে আবেদন পত্রও পাঠিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যে এমনটাও জল্পনা । তবে সম্প্রতি মালদহের গণি পরিবারের সদস্যদের তৃণমূলের যোগ দেওয়ার ঘটনায় চমক কিছু নেই। এই পরিবারের একাধিক সদস্যকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জোড়াফুল দলে ভীড়ে গেছিলেন। প্রসঙ্গত,মালদার বুকে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে ধুলিসাৎ করে দেওয়ায় হুংকার ছেড়েছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি মুর্শিদাবাদকে যেভাবে কংগ্রেসের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ঠিক একই অবস্থা করা হবে মালদহের কংগ্রেসেরও। যেমন কথা, তেমন কাজই করতে চলেছেন বঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্বরা। এমনটাই আন্দাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশের। আপনার মতামত জানান -