এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কংগ্রেস নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে “বিস্ফোরণ” ঘটিয়ে দল ছাড়তে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি

কংগ্রেস নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে “বিস্ফোরণ” ঘটিয়ে দল ছাড়তে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারকে হটিয়ে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ফলাফল প্রকাশে দেখা গেছে যে সারা দেশে যেমন আরও বেশি করে মোদি ঝড় উঠেছে, ঠিক তেমনই অনেক জায়গাতেই পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীদের।

এমনকি অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, সংসদে বিরোধী দল হতে গেলে যে আসন সংখ্যা লাগে, তাও কংগ্রেসের ভাগ্যে জোটেনি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিজের দলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করে ঝাড়খন্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অজয় কুমার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিনি তার পদত্যাগপত্র কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কি কি কারণে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অজয় কুমার! জানা গেছে, ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, দুর্নীতি সম্পর্কে তার জিরো টলারেন্স নীতির কথা।

শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, “আমি কোনরকম মধ্যমেধাকে প্রশ্রয় দেইনি। কিন্তু আমি কাজ করতে পারছিলাম না। তাই দয়া করে ঝাড়খন্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা গ্রহণ করুন।” অন্যদিকে দলের একাংশের বিরুদ্ধে চিঠিতে বিষোদগার করতেও দেখা যায় এই ঝাড়খণ্ডের অজয় কুমারকে।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মনে করি কংগ্রেসের উচিত এমন ইস্যু তোলা, যা জনগণের স্বার্থে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকজন কংগ্রেস নেতার একমাত্র উদ্দেশ্যই হল, ক্ষমতা দখল করা.। তারা ভোটের টিকিট বিক্রি করে টাকা তোলেন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, কংগ্রেসে আমার সহকর্মীদের অনেকে নিকৃষ্টতম অপরাধীদের চেয়েও খারাপ। অনেক কংগ্রেস কর্মী ভোটের টিকিট পাননি বলে দলের ক্ষতি করেছেন। অনেকে তাদের আত্মীয়কে টিকিট দেওয়া হয়নি বলে দলের ক্ষতি করেছেন।” তবে শুধু দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাই নয়, যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের স্বার্থে লড়াই করেছেন, তাদের প্রশংসাও করেছেন অজয় কুমার।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেসের এ যেন প্রবল সঙ্কটজনক অবস্থা। একদিকে নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করার পর সভাপতি পদ নিয়ে যেমন দোলাচলে পড়েছিল কংগ্রেস, ঠিক তেমনই এবার দলের একাংশের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সভাপতির ইস্তফাপত্র হাত শিবিরের অস্বস্তিকে বহুগুণেই বাড়িয়ে দিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!