কোন অঙ্কে হতে চলেছে বাম কংগ্রেস জোট? জেনে নিন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য February 24, 2019 বাম-কংগ্রেস জোট হবে কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টানটান উত্তেজনায় রয়েছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলে। গত বিধানসভা ভোটের মতো এবারের নির্বাচনে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এক ছাতার তলায় আসবে কিনা তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে সেই জল্পনার ইতি টেনে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট জোটের পথে এগোচ্ছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হাত ধরতে যেকোনো স্বার্থত্যাগ করতে রাজি বামেরা। শরিকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সিপিএম একরকম স্থির করে ফেলেছে কংগ্রেসের সঙ্গে একজোট হয়েই লোকসভা ভোট বৈতরণী পার করবে বামেরা। যদিও বামশরিকেরা এখনো এ ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি। বিশেষ করে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথে হাঁটতে একরকম একরকম আপত্তিই জানিয়ে এসেছে বাম শরিকেরা। তবুও সে আপত্তিকে উপেক্ষা করে গুটি গুটি পায়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথে এগিয়েছে বামফ্রন্ট। এখন আবার এক ধাপ এগিয়ে বলে ফেলেছে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে নিজেদের স্বার্থ ছাড়তেও রাজি তাঁরা। এবার শুধু বামেদের সিদ্ধান্তটা শরিকদের বোঝানোর পালা। তাঁরা সবুজ সংকেত দিলেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে সীলমোহর দিয়ে দেবে আলিমুদ্দিন কর্তারা,এমনটাই খবর। বামফ্রন্ট এই মুহূর্তে চাইছে শরিকদের শান্ত রেখেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আসতে। আর সেটা করতে গিয়ে নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করতেও দুবার ভাবছে না তাঁরা। এরইমধ্যে বামফ্রন্টের রাজ্যদপ্তরে শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আসনরফা করার অঙ্ক কষে ফেলেছে আলিমুদ্দিন কর্তারা। তাতে স্থির হয়েছে,শরিকদের ভাগের আসন নিয়ে কোনো টানাটানি করবে না বামফ্রন্ট। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গত লোকসভা ভোটে সিপিএম যেসব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তার থেকে ১৩ টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে পারে সিপিএম। তবে শরিকদের আসন সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না বামেরা। সিপিএম কর্তাদের হিসাব অনুযায়ী,তিনটি করে আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে শরিকদের। অর্থাৎ,ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ও আরএসপি তিনটি করে ৯টি আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি ৩৩ টির মধ্যে সিপিএম ২০ টি এবং কংগ্রেস ১৩ টি আসনে প্রার্থী দেবে বলেই প্রাথমিক পর্যায়ে ভাবা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র আবার সিপিএমকে শরিকি কোন্দল মেটানোর সাফবার্তা দিয়েছে। আর সেই বার্তার পরই শরিকদের মানভঞ্জন করতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্ররা। সিপিএমের আশঙ্কা,শরিকরা বেঁকে বসলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধা কিছুতেই সম্ভব হবে না তাঁদের। তাই প্রদেশ কংগ্রেসের বক্তব্যের পরই শরিকি ঝামেলা মেটাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁরা। এই অবস্থায় কংগ্রেস-বাম জোট সম্পূর্ণই নির্ভর করছে শরিকদের মনোভাবের উপর। এই অবস্থায় আলিমুদ্দিন কর্তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার ব্যাপারে শরিকদের রাজি করাতে পারে কিনা সেটাই দেখার! আপনার মতামত জানান -