এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক অধীর, অস্বস্তি বাড়লো বাম-কংগ্রেস জোটের!

কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক অধীর, অস্বস্তি বাড়লো বাম-কংগ্রেস জোটের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাম এবং কংগ্রেস। নিজেদের ঘর সামলে রাখা এই দুই রাজনৈতিক দলের কাছে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল হাত শিবির। যেখানে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক কাজী আবদুর রহিম।

সূত্রের খবর, শনিবার তৃণমূল ভবনে এসে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বাদুড়িয়ার বিধায়ক। যেখানে তার হাতে দলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং আরেক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। স্বভাবতই কংগ্রেস ছেড়ে এক বিধায়কের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানে কিছুদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়া অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্ব কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ। আগামী দিনে যদি দল ছেড়ে এভাবেই হেভিওয়েট নেতা কর্মীরা তৃণমূলে নাম লেখাতে শুরু করেন, তাহলে কিভাবে কংগ্রেস আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনের মত কঠিন লড়াইয়ে লড়াই দেবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সংগঠনে ব্যাপক বদল আনেন। যেখানে উত্তর 24 পরগনা গ্রামীণের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সাধারণ সম্পাদক করা হয় বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আবদুর রহিমকে। আর সেই কারণেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন এই কংগ্রেস বিধায়ক। আর তারপরই তিনি দলবদলের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন বলে মনে করছেন একাংশ। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে কাজী আবদুল রহিম বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারবেন রাজ্যকে বিজেপি মুক্ত করতে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।”

 

কিন্তু এর ফলে কি কংগ্রেস চাপে পড়ল না? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই কাজী আবদুর রহিমকে পাল্টা কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক গত ছয় মাস ধরে তৃণমূলে যোগদান করবেন কি করবেন না, সেই ভাবনায় ব্যস্ত ছিলেন। আমাদের কাছে খবর ছিল। ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল। যাই হোক, ওনার মনে হয়েছে তৃণমূল পার্টির এই পড়ন্ত বেলায় যোগদান করলে কিছু লাভ হতে পারে। কিন্তু উনি এবার আর জিততে পারবেন না।

অন্যদিকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “দিদি আপনি মনে করতে পারেন, কংগ্রেস দল ভাঙলাম, বিরাট কিছু করে ফেললাম। কিন্তু মনে রাখবেন, সাপুড়েকে সাপের কামড়েই মরতে হয়। খুব তাড়াতাড়ি আপনি দেখবেন তাসের ঘরের মত আপনার পার্টি ভোটের আগেই কেমন ভেঙে পড়েছে। মিলিয়ে নেবেন, যে দল ভাঙানোর খেলা আপনি বাংলায় শুরু করেছিলেন, সেই খেলাতেই তৃণমূল পার্টির খতম হবে।”

অর্থাৎ অধীর রঞ্জন চৌধুরী একথা বলে দলবদলের ব্যাপারটিকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। সব মিলিয়ে কংগ্রেস বিধায়কের এই তৃণমূলে যোগদান এখন বাম- কংগ্রেসের জোটকে নির্বাচনের আগে কতটা চাপে ফেলে এবং এর প্রভাব কতটা পড়ে ভোটবাক্সে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!